ডেস্ক নিউj: মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, চা শিল্পের প্রসার’ স্লোগান নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এর উদ্যোগে আগামী ৪ জুন ১ম ‘জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদযাপন করা হবে।
এই উপলক্ষে আজ বুধবার (০২ জুন) সকাল ১১ টায় বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে অনলাইন প্লাটফরম জুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জুন ১৯৫৭ তারিখ হতে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ তারিখ পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত থেকে বাঙালি জাতিকে সম্মানিত করেন। বঙ্গবন্ধু চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এবং পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে চা শিল্পের উন্নয়নে অবিস্মরণীয় অবদান রাখেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকীতে চা শিল্পে তাঁর অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চা শিল্পের ভূমিকা বিবেচনায় গত বছরের ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশীয় চা সংসদ এর চেয়ারম্যান এম শাহ আলম, টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান শাহ মঈনুদ্দীন হাসান ও এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দীন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল পৌনে ১০টায় জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে। সকাল ১০টা থেকে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আলোচনা সভা শেষে দিনব্যাপী চা প্রদর্শনী চলবে। চা প্রদর্শনীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন করা হবে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলস্থ টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।
ঢাকার পাশাপাশি ওইদিন জাতীয় চা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে দেশের চা উৎপাদনকারী অঞ্চল চট্টগ্রাম, সিলেট ও পঞ্চগড়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। চা বোর্ডের প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ বিটিআরআই-তে এবং উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হবে। এ সকল অঞ্চল ঢাকার অনুষ্ঠানের সাথে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও অনলাইনে সংযুক্ত থাকবে এবং পরবর্তীতে সেখানে রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান, আলোচনা সভা ইত্যাদি কার্যক্রম থাকবে। পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে একটি চা প্রদর্শনী করা হবে।
আয়োজকরা জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর চা দিবসের অনুষ্ঠানে সীমিত জনসাধারণের উপস্থিতিতে, সীমিত পরিসরে যাথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে উদযাপন করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী, যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ চা বোর্ডের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।