ডেস্ক নিউজ: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খালগুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ, দখল হওয়া খালের পুনঃরুদ্ধার, খাল খনন কাজ দ্রুত শুরু করা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে দেয়া বাঁধ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কেটে দিতে হবে।
না হলে কিছু দিনের মধ্যে শুরু হতে যাওয়া বর্ষাতে নগরী জলাবদ্ধতায় ডুবে যাবে। যার নমুনা ঈদের দিনে
একঘন্টা বৃষ্টিতে টের পাওয়া গেছে।
তিনি আজ রোবাবার সকালে নগরীর টাইগার পাসস্থ চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রাকৃতিক
খালসমূহ অবৈধ দখলদারগণকে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা ও মনিটরিং করা নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির ২য় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
কমিটির সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন, কাউন্সিলর এম. আশরাফুল আলম, মো. মোরশেদ আলম, মোহাম্মদ শহীদুল আলম, হাজী নুরুল হক, মো. আব্দুল মান্নান, চসিক সচিব খালেদ মাহামুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, চউকের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, চবকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান, সি.এম.পির উপ পুলিশ
কমিশনার এস.এম মোস্তাইন হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি মামুনুল আহমেদ অনিক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অয়ন কুমার ত্রিপুরা, ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক নিউটন দাশ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম প্রজেক্টশনের মাধ্যেমে কিছু প্রস্তাবণা উপস্থাপন করেন।
মেয়র বলেন, নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে পুরোপুরি মুক্তি দিতে এত বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
যদি প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত না হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীর একটি সদিচ্ছার অপমৃত্যু হবে এবং টাকারও অপচয় হবে। তাই এই টাস্কফোর্স কমিটি এখন থেকে অন্তত ২মাস পর সভায় মিলিত হতে হবে এবং নিয়মিত মনিটরিং করার দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে।
তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও
পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃক যেসব সুইস গেইট নির্মাণ করা হচ্ছে তা
সম্পন্ন হয়ে গেলে পরিচালনার দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দেয়া হলে তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে তা পরিচালনা সম্ভব হবে বলে জানান।
তিনি এই টাস্কফোর্স কমিটিতে চট্টগ্রাম ওয়াসাকে সংযুক্ত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।