ডেস্ক নিউজ: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের এদিন ভোরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিপথগামী কিছু সেনাসদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। এরপর থেকে বিএনপি ও সমমনা দল এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলো দিনটিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে।
দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়। এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি, তাকে হত্যা করা হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে একজন মহান দেশপ্রেমিককে দেশবাসী হারায়। তিনি দেশের জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরূক হয়ে আছেন, থাকবেন।
১৫ দিনের কর্মসূচি : জিয়ার ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ দিনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে আছে, আজ ৩০ মে ভোরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও নেতাকর্মীর কালো ব্যাজ পরিধান, সকাল সাড়ে ৯টায় শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে সিনিয়র নেতাদের পুষ্পমাল্য অর্পণ, বেলা ১টায় বিএনপি ঢাকা মহানগর এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও পুষ্পমাল্য অর্পণ, ৩১ মে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
৩০ ও ৩১ মে দুই দিন রাজধানীর ৮০টি স্পটে অসহায়-দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী ও কাপড় বিতরণ করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা। এছাড়া জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবনের ওপরে ১ জুন স্বেচ্ছাসেবক দল, ২ জুন ছাত্র দল, ৩ জুন যুবদল, ৫ জুন মৎস্যজীবী দল, ৬ জুন শ্রমিক দল, ৭ জুন জাসাস, ৮ জুন তাঁতী দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা, ৪ জুন মহিলা দলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল এবং ৯ জুন জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে শহীদ জিয়ার ওপর প্রকাশিত বই প্রদর্শনীর কর্মসূচি রয়েছে। ১ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত সারা দেশে জেলা ও মহানগরীতে ইউনিটের উদ্যোগে আলোচনা সভা হবে। জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন পোস্টার প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে।