ডেস্ক নিউজ : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমাদের মেধাবী সন্তানরা বিদেশে গিয়ে গবেষণালব্ধ অভিসর্ন্দব অভিজ্ঞান অর্জন ও সনদপ্রাপ্ত হলেও অত্যাধুনিক ল্যাব ও পরীক্ষাগার না থাকায় এদেশে তা প্রয়োগ করতে পারছেন না। এতে তাদের কাছ থেকে কাক্ষিত সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত হচ্ছে না। ফলে মেধাবী সন্তানদের সঠিক পরিচর্যার অভাবে সমগ্র জাতি বঞ্চিত হচ্ছে। তাই প্রয়োজন মেধাবীদের অর্জন ও কাজের মূল্যায়নের অনুকূল ক্ষেত্র তৈরী করতে অত্যাধুনিক ল্যাব ও পরীক্ষাগারের অবকাঠামো নির্মাণ করা। এ ব্যাপারে সরকারকেই ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আজ রবিবার সকালে তাঁর অফিসকক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আখতারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে মশক নিধনে যে সকল তরল ওষুধ বা পাউডার ছিটানো হয় তার কার্যকারীতা যাচাইয়ে চবি উপাচার্যের নেতৃত্বে যে টিম গঠন করা হয়েছে তার প্রতিবেদন পাওয়া মাত্রই চসিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আশাকরি এই টিমের সাথে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে যে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তার সুফল অবশ্যই পাওয়া যাবে এবং তাদের পরামর্শ ও সুপারিশ কাজে লাগিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনায় সফলতা নিশ্চিত হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আখতার মেয়রকে অবহিত করেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে সকল শিক্ষক ও ছাত্র বিদেশে গিয়ে গবেষণা ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপ্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন তাদের মেধা বিকাশ ও অর্জিত অভিজ্ঞান কাজে লাগাতে উপযুক্ত পরিবেশ ও অবকাঠামো থাকা খুবই প্রয়োজন। এই আবশ্যকতা পূরণে জনপ্রতিনিধিদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মশক নিধন কার্যক্রম জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এ জন্য মশক নিধনের ওষুধ বা তরল প্রতিষেধকের কার্যকারীতা যাচাইয়ে যে দায়িত্ব আমার নেতৃত্বাধীন টিমকে দেয়া হয়েছে তা পালনে কোন ব্যত্যয় ঘটবে না। সাক্ষাতকালে মশক নিধন ওষুধের কার্যকারীতা নির্ণয়ে গঠিত চবি টিমের কার্যক্রম পরিচালনায় একটি বাজেট মেয়র মহোদয়কে প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াসউদ্দীন, কাউন্সিলর মো. নুরুল আমিন, চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে, রেজিস্টার অধ্যাপক এম. মুনিরুল হাসান, সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মো. শহীদুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর মো. ইয়াকুব, সহকারী অধ্যাপক কাজী মুহাম্মদ নুর সোহাত প্রমুখ।
এসএএস/