সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে মুজিবকিল্লা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম

Date:

Share post:

এম.জুবাইদ,
কুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের পেকুয়ায় মুজিব কিল্লা নির্মাণে ব্যাপক নিয়মের অিযোগ উঠেছে টিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাজল এন্ড ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে।
উপজেলার ইউপির শরৎঘোনা ও উজানটিয়া ইউপির মালেকপাড়ায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মুজিব কিল্লার কাজ দুইটির নিমার্ণ কাজ শুরু করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাজল এন্ড ব্রাদার্স।

স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিনুল ইসলামের সাথে যোগসাজশে িয়ম করে যাচ্ছে ঠিকাদার। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বার বার জানানো হলেও কোন কর্ণপাত করেনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্ব উজানটিয়া মালেক পাড়া নির্মাণাধীন মুজিব কিল্লায় সিলেটের বালুর বদলে পাহাড়ি মাটিযুক্ত বালু, লবণাক্ত পানি ব্যবহার, ভরাট মাটির উপরে মাটিতে রূলার দিয়ে মাটির লেবল ঠিক না করে, অপরিষ্কার কংক্রিট,অপর্যাপ্ত সিমেন্ট, সিলেটি বালি না দিয়ে কাজ চালিয়ে চালাচ্ছে এই টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এমন কি কয় টাকার প্রকল্প সেটা জানার ভয়ে, প্রকল্প এলাকায় কোন ধরনের সাইন বোর্ড দেওয়া হয় নি।
এটাও জানিয়েছেন স্থানীয়রা, ব্রেইজ ঢালায় দেওয়ার পর ঢালায়তে আর কোন পানি দেওয়া হয়নি।
পানি না দেওয়ার কথা স্বীকার করে, মেসার্স কাজল এন্ড ব্রাদার্সের ম্যানেজার আরমান বলেন,” এখানে মিঠা পানি পাইনি তাই দেওয়া হয়নি,পাহাড়ি মাটি না বালু জানতে চাইলে, এই বালু আর ব্যবহার করা হবে না। ভরাট মাটির উপর লেবেল ঠিক না করে কিভাবে পিলার নির্মাণ হচ্ছে জানতে চাইলে বলেন, এটা রা করি নাই। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম স্যার করতে বলেছেন তাই করেছি।

বেশিরভাগ সময় তাঁরা কাজ করছেন রাতের অন্ধকারে, অনিয়ম করার জন্য লোকজনের চোখে ফাঁকি দিয়ে রাতের আধারে কাজ করছেন। দিকে একটি নলকূপ বসিয়েছে তাও আবার লবণাক্ত পানি উঠে। তাঁরা কংক্রিটে পানি দিয়ে ধূয়েনি এবং বালুগুলো নেটদিয়ে চালানো হয়নি।

স্থানীয় নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, কেউ তাঁদের অনিয়মের কথা দেখিয়ে দিলে উল্টো তাঁদের মামলার হুমকি দেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স কাজল এন্ড ব্রাদার্সের মালিক জয়নাল আবেদীন কাজল বলেন,
সবার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক, কেউ প্রকল্প দেখতে যায় না। স্থানীয় কিছু লোক অপ্রচার চালাচ্ছে। কেন গেছেন,?ওকানে যাওয়ার কি ছিল আমাকে একটা কলদিলে ত হয়,আমার ম্যানেজার আছে ওনার সাথে কথা বলেন ওনি খরচ পাতি দিয়ে দিবে।

অনিয়মের বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন ভাই শুধু অপ্রচারে কান দিয়েন না। সবকিছু ঠিক আছে ঠিকমত চলতেছে কাজ বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাছেম বিল্যাহ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অনিয়মের সত্যতা জানিয়ে বলেন আমি কাজ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম বালু ও কংক্রিটগুলো নিম্নমানের হওয়ায় এসব নিম্নমানের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জাহিদ ইকবাল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে খোঁজ নিয়ে তিনি অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

নির্বাচনের ডেট না দিলে বিএনপিই দিয়ে দেবে: দুদু

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘আমাদের নেতা বলেছেন, ডিসেম্বরের...

আজ থেকে দেশের সব জুয়েলারি দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জুয়েলারি শিল্পমালিকদের সংগঠন...

যুক্তরাষ্ট্রকে তুলা, তেল ও গ্যাস কেনার প্রস্তাব দিল বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর অনেকটাই বিপাকে পড়েছে ঢাকা। যদিও সম্প্রতি আদালত ট্রাম্পের...

ধানমন্ডির ঘটনায় ‘ভুল’ স্বীকার করলেন হান্নান মাসউদ

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আটক তিনজনকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনার ঘটনায় ভুল স্বীকার করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ...