২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম আবদুল কাদের মির্জার

Date:

Share post:

ডেস্ক িউজ: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার মূল ফের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ডিসি, এসপির ্যাহারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছেন সড়ক িবহন ও সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টা সময় দিলাম। এ সময়ের মধ্যে ডিসি, এসপি, এডিশন্যাল এসপি, ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি, পরিদর্শককে (তদন্ত) প্রত্যাহার করতে হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী, রুমেল, সবুজ, কচি, শাহীন চেয়ারম্যান, রাজ্জাক চেয়ারম্যানকে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনেন। না হলে কোম্পানীগঞ্জে শান্তি আসবে না। আমি ২৪ ঘণ্টা সময় দিলাম। ২৪ ঘণ্টার ভেতর যদি এটার কিছু না হয়, ২৪ ঘণ্টা পরে আমি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নামবো।’

এ সময় তিনি আটক তার অনুসারী সাবেক কাউন্সিলর শিমুলকে এক ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় তার ছেলে তাশিক মির্জা কাদেরের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন।

কাদের মির্জা বলেন, ‘পুলিশের সামনে বসে পকেটে অস্ত্র, এ কোন দেশ? এ কি আইনের শাসন নেই? ইউএনওর সামনে বসে পকেটে অস্ত্র। এ দেশে কি আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার সংস্থা নেই? আজ আমাকে ফেসবুকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। অথচ আমার প্রতিপক্ষরা ফেসবুকে কথা বলতে পারছে। আমি পারছিনা। এ গুলো কে করেছে?’ তিনি তার ভাই ওবায়দুল কাদের ও ভাবির নাম উল্লেখ করেন। তিনি বলের, ‘তারা না হলে কে করছে?’

বসুরহাটের মেয়র বলেন, ‘আমি কারও তোয়াক্কা করি না। আল্লাহ ছাড়া, জনগণ ছাড়া কাউকে ভয় করি না। আমি সাহস করে সত্য কথা বলবো। আমার পরিবার প্রয়োজনে এই পথে নিজেদের বিসর্জন দেবে। তার পরও কোনও ী, অপরাজনীতি, সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজ, ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে কোনও আপস করবো না।‘

উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আট জন আহত হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে বাদলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সেখান থেকে তারা পৌর ভবনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এর কিছুক্ষণ পর মেয়র কাদের মির্জার ছেলে তাশিকের নেতৃত্বে েকজন যুবক থানার সামনে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এসময় বাদল গ্রুপের আরমান চৌধুরী, কাদের মির্জার ভাগ্নে হুমায়ুন রশিদ মিরাজ, যুবলীগের নজরুল ইসলাম হিমেল, ছাত্রলীগ নেতা আদনান পাশা জয়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাহাদুর, কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিক, পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ জিসান ও চরপার্বতী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর বসুরহাটে উত্তেজনা ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতি্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ঝরছে। কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি, কোথাও বা ভারী বৃষ্টি। অনেক এলাকাতেই জমেছে পানি।...

কার নেতৃত্বে আ.লীগের পুনর্বাসন হতে যাচ্ছে, জানালেন রাশেদ খান

ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ...

বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় নেই বিল গেটস

এক সময় বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ছিলেন সফটওয়্যার কোম্পানি মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক শীর্ষ নির্বাহী বিল গেটস। তবে...

ভারতে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা, তদন্ত প্রতিবেদন দিল কমিটি

ভারতের গুজরাটে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। গত ১২ জুন আহমেদাবাদ...