খাগড়াছড়ি সদরের শালবন এলাকায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বিরুদ্ধে ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আটক হওয়া জামাল হোসেন খাগড়াছড়ি পৌর যুবলীগের সদস্য বলে জানা গেছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) জামাল ও শিশুটির মা রহিমা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
শিশুটির চাচি নুরজাহান বেগম জানান, শিশুটির বাবা মুসা মিয়া বিদেশে থাকার সুবাদে তার মা রহিমা বেগমের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে জামাল। এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করে। বিয়ের পরে শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে সৎ বাবার বাড়িতে ছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, ৩ এপ্রিল রাতে কোনও কিছুর সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। পরে ধর্ষণ করে শিশুটিকে। শিশুটি অসুস্থ বলে রোববার তার বাবার মানিকছড়ি বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় জামাল। বিষয়টি বুঝতে পেরে শিশুটিকে মানিকছড়ি থানায় নিয়ে আসে স্বজনরা। পুলিশ শিশুটিকে প্রথমে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় এবং অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় পরে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে।
বিষয়টি খাগড়াছড়ি সদর থানাকে জানালে তারা জামাল ও রহিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গ্রেফতার করে। তাদের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ঘুমের ওষুধ উদ্ধার করে। খাগড়াছড়ি সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। টেস্ট রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।