ডেস্ক নিউজ : বয়স ১৯। জনসম্মুখে মানুষকে পেটানোর দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে দিতেন তিনি। মানুষের বাসায় ঢুকে বা বিনোদনকেন্দ্রে প্রকাশ্যে মানুষকে পেটানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব কাজ তিনি একা করেন না। রয়েছে দলও। এমন নানা অভিযোগে ছয় মাসের ব্যবধানে দুই মামলার আসামি হয়ে পুনরায় কারাগারে গেলেন তিনি লেডি গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিত তাহমিনা সিমরান সিমি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগরীর পতেঙ্গা থানার এসআই মহিউদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তিনদিনের রিমান্ড শেষে বুধবার সিমিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত রবিবার সিমিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজা তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা নেভাল বিচ এলাকায় এক তরুণীকে মারধরের একটি ভিডিও গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পতেঙ্গা নেভাল বিচ এলাকায় সিমি তার এক ছেলে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এক কিশোরীকে মারধর করে এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয়। সেই সাথে উক্ত কিশোরীকে অনেক আকুতি মিনতি করতে দেখা যায় ভাইরাল ভিডিওটিতে।
এই ভিডিও নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর পুলিশ শনিবার তাহমিনা সিমিকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন ওয়াসিফা চৌধুরী অর্না নামের এক তরুণী।
এর আগে গত বছরের ২৪ আগস্ট বাসায় ঢুকে এক তরুণীকে বেধড়ক মারধর করেছিল ‘লেডি গ্যাং সিমি ও তার গ্রুপ’। পরে ওই তরুণীর মামলার জেরে গত ২৭ আগস্ট দুই সহযোগীসহ ইপিজেড থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সিমি। সেই মামলায় বেশ কয়েকদিন কারাগারে থেকে জামিন পায় সে।
লেডি গ্যাং লিডার কুখ্যাতি পাওয়া ১৯ বছরের সিমির দলে আছে আরও সাত তরুণ-তরুণী। সিমির গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। পরিবারের সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরীতে থাকতেন তিনি।
সিমির সহযোগী ও ছেলেবন্ধু মেহেরুল হাসান এখনও গ্রেফতার হননি। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পতেঙ্গা মডেল থানার ওসি সৈয়দ জোবায়ের।