ডেস্ক নিউজ: সারাদেশের হুঁ হুঁ করে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ১৪ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন। আর সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৩৮ জন। এছাড়া আগের দিনের মতো এদিনও নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৬ শতাংশের বেশি।
এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৫ লাখ ৫৬ হাজার। এর মধ্যে সাড়ে আট হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আর সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন সাড়ে আট হাজারেরও বেশি।
শনিবার (১৩ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২১৯টি পরীক্ষাগারে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৮টি, জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ২৯টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ৭২টি। ল্যাবগুলোর মধ্যে সরকারি ল্যাবের সংখ্যা ১৫০টি, বেসরকারি ল্যাব ৬৯টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৯টি। আগের দিনের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১৬ হাজার ২০৬টি। এ নিয়ে দেশে ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৫টি নমুনা পরীক্ষা হলো। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৩১০টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় যেসব নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে এক হাজার ১৪টি নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১২ জন করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন, এ নিয়ে মোট ৮ হাজার ৫২৭ জনের মৃত্যু হলো। শনাক্তের বিপরীতে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
একই সময়ে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৩৮ জন। এ নিয়ে মোট ৫ লাখ ১০ হাজার ৩১০ জন করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন। সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১২ জন করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৯ জন, তিন জন নারী। তারা সবাই ঢাকা বিভাগের এবং হাসপাতালে মারা গেছেন। এই ১২ জনের ১১ জনই ষাটোর্ধ্ব, একজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আজ শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দেশে মোট ৫৫ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৮ জন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন মোট ৪২ লাখ ১৮ হাজার ১২৭ জন। গতকাল শুক্রবার (১২ মার্চ) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
করোনাভাইরাস সংক্রমণসহ স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি প্রয়োজনে ১৬২৬৩, ৩৩৩ ও ১০৬৫৫ নম্বরে কল করতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। যারা আগে থেকেই দীর্ঘ মেয়াদি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তারা ও বয়োজ্যেষ্ঠরা করোনা পজিটিভ হলে তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণের ন্যূনতম দুই সপ্তাহ পর থেকে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। তাই এই সময়ে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলছে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এ কারণে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে ও পরেও মাস্ক ব্যবহারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।