ডেস্ক নিউজ: কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে।
পঞ্চমধাপে ২০টি বাসে করে স্বেচ্ছায় নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছেন প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী। বাসগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি বাসও যাচ্ছে একইসাথে।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মিনিবাসে করে রোহিঙ্গাদের আনা হয়। উখিয়া কলেজ মাঠে অস্থায়ী ক্যাম্প ও ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের সকাল ও দুপুরের খাবার দেওয়া হয়। বাসে উঠার পূর্বে প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাস রওনা করেছে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে।
সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নিবন্ধনের পর অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প উখিয়া কলেজ মাঠে আনা হয় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের।
সোমবার বিকেলে ও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নিবন্ধনের পর তাদের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প উখিয়া কলেজ মাঠে আনা হয়েছে। সেখান থেকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, ‘কয়েক ধাপে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছেন। তারা সেখানে এই শিবিরগুলোর চেয়ে অনেক ভাল পরিবেশে রয়েছে। এটি সরকারের একটি চলমান প্রক্রিয়া। পর্যায়েক্রমে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নেওয়া হবে ভাসানচরে।’
উল্লেখ্য, বাসযোগে প্রথমে চট্টগ্রাম এবং পরে নৌবাহিনীর জাহাজে করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নেওয়া হবে ভাসানচরে।