ডেস্ক নিউজ: দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমদুম রেললাইন প্রকল্পের কাজ। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের কাজ ৫১ ভাগ শেষ হয়েছে। বর্তমানে চলছে রেলট্রেক বসানোর কাজ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্ষার মৌসুমের আগেই রেলট্রেক বসানোর কাজ শেষ করবেন তারা। তারা। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রেলট্রেক বসানোর ক্লাজ রামু উপজেলার পানির ছড়া বাজার এলাকা থেকে শুরু হয়। যে শকল জায়গায় মাটির কাজ শেষ, সেসব জায়গায় চলছে রেলট্রেক বসানোর কাজ।
কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সামনে বর্ষাকাল। বর্ষায় সঠিকভাবে কাজ করা যায়না। তাই বর্ষা শুরু হওয়ার পূর্বেই রেলট্রেক বসানোর কাজ শেষ করতে চাই। রামুর পানির ছড়া থেকে এই কাজ চট্টগ্রামের দিকে চলে আসবে।
জানা গেছে, এই মেগা প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে এ প্রকল্পের ৫১ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রেললাইনের জন্য মাটির ভরাট কাজের অগ্রগতিও হয়েছে ৭০ শতাংশ। এ প্রকল্পের আওতায় ৯টি স্টেশনের আওতায় ৫টির বিল্ডিংয়ের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে ২০ শতাংশ। ১৪৫টি কালভার্টের মধ্যে ৭০টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ পর্যায়ে রয়েছে আরও ৩০টি প্রকল্পের কাজ।
৩৯টি ব্রিজের মধ্যে ৩০টির কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। কক্সবাজারের নির্মাণাধীন সর্বাধুনিক স্টেশন আইকনিক বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে ২০ শতাংশ। বনাঞ্চলের ভেতরে হাতি চলাচলের জন্য ২টি আন্ডারপাসের কাজ শেষ হয়েছে। ওভারপাস তৈরির কাজও চলছে দ্রুততার সঙ্গে।
দ্রুত এই রেললাইনটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাতায়াত শুরু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ সারা দেশের সঙ্গে অর্থনীতি, পর্যটনখাতে বিপুল রাজস্ব আয় হবে। পাশাপাশি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নও ঘটবে। সারাদেশ থেকে কক্সবাজার ঘুরতে আসা পর্যটকরাও ও রেল যোগাযোগের সুফল ভোগ করবে।
দোহাজারী-কক্সবাজার মেগা এই রেললাইন প্রকল্পের সর্বমোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন হবে। ১২৮ কিমি রেলপথে স্টেশন থাকছে ৯টি।
স্টেশনগুলো হলো- সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুম। এতে থাকবে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম। সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হবে তিনটি বড় সেতু।