নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছে দলীয় হাই কমান্ড। ফলে দেশব্যাপী আলোচনায় থাকা বসুরহাটের পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জাদের রাজনীতি আপতত বন্ধ হয়ে গেল। এমনকি ফেসবুক লাইভে এসে দলীয় কোনও বিষয়ে বক্তব্য ও স্ট্যাটাসেও বিধি নিষেধ দিয়েছে দলের হাই কমান্ড। এখন দেখার বিষয় রাজনীতি বন্ধ হলেও তার শব্দ বোমা থামে কিনা।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম হাই কমান্ডের বরাত দিয়ে আজ সন্ধ্যা ৭ টায় সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, চলমান দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী পরিস্থিতির কারণে দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এমনকি ফেসবুক লাইভে এসে দলীয় কোনও বিষয়ে বক্তব্য ও স্ট্যাটাস দেওয়া যাবে না। এ সিদ্ধান্ত ওই উপজেলায় দলের সব কমিটির নেতা-কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
উল্লেখ্য, বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারণাকে সামনে রেখে এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা স্থানীয় দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে তুমুল আলোচিত হন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই হওয়ায় গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হন তিনি। এ পৌরসভায় বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তার সমালোচনামূলক কর্মকাণ্ড আরও বেড়ে যায়। এ সময় শপথ নিতে যাওয়ার সময় তার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ করেন তিনি। তবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগেরে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল তার মুখোমুখি হয়ে পড়েন।
১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চাপরাশির বাজারে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেখানে মুজাক্কির নামে এক সাংবাদিকসহ অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধ ও উভয়পক্ষে প্রায় অর্ধ শতাধিক আহত হন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুজাক্কির নিহত হলে এ বিরোধ আরও তীব্র হয়। উভয়পক্ষ একই স্থানে শোকসভার নামে কর্মসূচি দেওয়ায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হয়। এর আগে বসুরহাট পৌরমেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া নিয়েও দলীয় নাটক হয়। এসব ঘটনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নিলো দলীয় হাই কমান্ড।