বগুড়ার ধুনটে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন এর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বগুড়া বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব প্রেরণ করেছে ভাইস-চেয়ারম্যানসহ উপজেলার ৯ টি ইউ পি চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এই অনাস্থা প্রস্তাব জেলা প্রশাসক বগুড়া বরাবর প্রেরণ করা হয়।
অনাস্থা প্রস্তাবের অনুলিপি হতে জানা যায়,উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকনের দায়িত্বহীনতা ও অসহযোগিতার কারণে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষে জনগণের উপহার স্বরুপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কতৃক ধুনট উপজেলা পরিষদের এডিপির কাজে ১ কোটি ৩২ লক্ষ। জাইকা প্রকল্পের ৫০ লক্ষ। রাজস্ব খাতের ৫০ লক্ষ। টিআর,কাবিখা, কাবিটা,বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ ও ৫ শতাধিক মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিধিমালা অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়া স্বত্বেও তিনি বাস্তবায়ন করার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। ইতিমধ্যে তার ব্যক্তিগত স্বেচ্ছাচারিতার কারণে উপজেলা মসজিদ মন্দিরের জন্য বরাদ্দকৃত ৩০ লক্ষ টাকা ফেরত গেছে।সরকারি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হওয়ায় জনমনে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং জনগণের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিদের।
উল্ল্যেখিত বিষয়গুলি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে পরপর তিনটি সমন্বয় সভায় উপস্থিত হন নাই।ফলে উপজেলার সকল কার্যক্রমই বন্ধ হয়ে আছে। উপজেলা পরিষদ অপারেশন মেনুয়্যাল অনুযায়ী পরপর তিনটি সমন্বয় সভায় অনুপস্থিত থাকায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এর দায়িত্বে অবহেলা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার কারণে ৯ জন ইউ পি চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণের জন্য স্বাক্ষর প্রদান করেন। এবং ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান মহসীন আলমকে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব প্রদান করে উপজেলার সকল কর্মকাণ্ড পুনরায় চলমান রাখার অনুরোধ করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব অবহেলার কারণে উপজেলার সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। সরকারি অনেক প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।এজন্য উপজেলার সকল চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করেছে।এমতাবস্থায় উপজেলার উন্নয়নের স্বার্থে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে।