অভিজিৎ হত্যা: ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড

Date:

Share post:

ডেস্ক নিউজ: বহুল আলোচিত অভিজিৎ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন সন্ত্রাসবিরোধী েষ ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ে পাঁচ িকে ুদণ্ড এবং এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির ও মো. আরাত রহমান।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি হলেন শফিউর রহমান ফারাবি।

তাদের মধ্যে মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির শুরু থেকেই পলাতক। বাকি চারজন কারাগারে রয়েছেন।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটির যুক্তিতর্কের শুি শেষে রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা হয়। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি আদালতে আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণে আসা অভিযোগ পড়ে শোনালে কারাগারে থাকা চার আসামি নিজেদের নির্দোষ করেন।

তারও আগে রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালে এ মামলার অভিযোগ প্রমাণের জন্য চার্জশিটের ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায়সহ ২৮ জনের সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন।

মামলায় ২০১৯ সালের ১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশ ইন্সপেক্টর মুহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় এ চার্জশিট দাখিল করা হয়, যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

চার্জশিটে বলা হয়, ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে অপপ্রচার ও মহানবীকে ে কটূক্তি করায় জঙ্গি গ্রুপ সার আল ইসলামের নেতা মেজর জিয়ার নির্দেশ ও পরিকল্পনা এবং শারীরিক প্রশিক্ষক সেলিমের উপস্থিতিতে সংগঠনটির সদস্যরা অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার দুদিন আগে থেকে জঙ্গি সায়মন, সোহেল, আকরাম ও হাসান অভিজিৎ রায়ের গতিবিধি অনুসরণ করে।

তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আরাফাত, খলিল ওরফে আলী, অন্তু ও অনিক হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। হত্যাকাণ্ডের সময় মেজর জিয়া, শরীরচর্চা প্রশিক্ষক সেলিম ঘটনাস্থল ঘিরে রাখেন যাতে তাদের সহযোগীদের কেউ আটক করতে না পারে। হত্যাকাণ্ডের পর তারা ঘটনাস্থলে ব্যবহৃত চাপাতি ফেলে পালিয়ে যান।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা এবং তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ ওরফে বন্যাকে করা হয়। তারা উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, ফেনীতে এসআই ক্লোজড

ফেনীর পরশুরামে অভিযোগকারীর কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর পরশুরাম মডেল থানার...

কুয়েতে ফুটপাতে চাঁদাবাজির অভিযোগে বাংলাদেশি গ্রেফতার

কুয়েতে ফুটপাতে চাঁদাবাজির অভিযোগে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। সম্প্রতি এক অভিযানে চাঁদাবাজি করার সময় তাকে হাতেনাতে...

‘মব ভায়োলেন্স এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি’ হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী

ভবিষ্যতে “জানমালের ক্ষতিসাধন, মব ভায়োলেন্স এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারে, এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে”...

কমান্ড পোস্টে ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলায় রুশ নৌবাহিনীর উপ-প্রধান মেজর জেনারেল মিখাইল গুডকভ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই)...