ডেস্ক নিউজ:চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষ ও ইভিএম মেশিন ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল বালির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলায় ইসমাইল বালিসহ এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ২৪ জনকে এবং ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের বিষয়টি জানানো হয়।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার মুহাম্মদ শাহজাহান বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ ও ইভিএম মেশিন ভাঙচুরের ঘটনায় ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার মুহাম্মদ শাহজাহান বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল বালিকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার পর আটক ইসমাইল বালিকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. সেলিম (৩৫), আবুল খায়ের (৩৩), আব্দুর রহমান সাদু (৫০), মো. ইব্রাহিম (৫২), আব্দুল কালাম (৪৩), মো. হোসেন (৩৭), মো. জাহেদ (৩৭), মো. মফিজুর রহমান (৪০), মো. আব্দুল জলিল রিপন (৩৮), আব্দুস সোবহান (২৮), সাইদুল হক শাহেদ (৩৮), মো. ইউসুফ (৫৬), শাহাদাত হোসেন নাবিল (২৪), মো. সাইফুল (৩৫), সরোয়ার ওয়াহিদ (৩০), মো. ইফতেখার ইকবাল নাদিম (২৮), মো. জসিম উদ্দিন (৪৭), আবু তৈয়ব (৩৩), আবুল খায়ের টুটুল (৩৬), মো. রুবেল (৩২), মো. আকিব জাবেদ (৩০), মো, জসিম (৩৫), প্রিন্স মারুফ (২৭)।
বুধবার দুপুরে নির্বাচন চলাকালীন পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল বালিকে অস্ত্র নিয়ে গুলি করতে দেখা যায়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে।