‘দ্য মুসলিমাহ সেক্স ম্যানুয়াল- এ হালাল গাইড টু মাইন্ডব্লোয়িং সেক্স’। এই বইকে ঘিরেই এখন তোলপাড় দুনিয়া। মুসলিম মহিলাদের যৌন জীবনকে আরও উন্নত করে তোলার জন্যই লেখা হয়েছে এই বই। আর তা নিয়েই নানা বিতর্ক।
বইয়ের লেখিকা অবশ্য নিজের নাম গোপন রেখেছেন। উম মুলাধত ছদ্মনামেই এ বই লিখেছেন তিনি। সেখানেই একজন মুসলিম মহিলা কীভাবে সুস্থ যৌন জীবন উপভোগ করতে পারেন, তার নানা পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেছেন লেখিকা। এ বই ঘিরেই জমেছে বিতর্ক। কিন্তু কেন এমন বই লিখতে গেলেন তিনি?
নিজের ওয়েবসাইটে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন উম মুলাধত। বই লেখার কিছুদিন আগে এক মুসলিম মহিলার সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। ওই মহিলা লেখিকাকে জানান, বিয়ের পর যৌনতা নিয়ে একাধিক সমস্যায় পড়েছেন তিনি। লেখিকার কাছে তিনি এ ব্যাপারে কিছু পরামর্শও চান। এই ঘটনা থেকেই ভাবনার সূত্রপাত। একাধিক মহিলা যে এ সমস্যায় ভুগছেন তা আঁচ করতে পারেন তিনি। আর তাই সকলের সমস্যা সমাধানের জন্য আস্ত একটি বই লিখে ফেলেন। আসলে ওই মহিলাকে তিনি যা লিখে পাঠিয়েছিলেন, সেটি মহিলা তাঁর একাধিক বান্ধবীদের দেখান। প্রত্যেকেই তাতে উপকৃত হন। এরপরই বই হিসেবে তা প্রকাশ করার কথা ভাবেন লেখিকা। গত সপ্তাহেই বইটি প্রকাশিত হয়েছে।
লেখিকার মতে, নিজেদের যৌনজীবন নিয়ে বহু মুসলিম মহিলাই সংশয়ে থাকেন। যৌনতায় কোন কোন বিষয় ধর্মসম্মত, কোনটি নয়, তা নিয়েই ধন্দ। অনেকে আবার এ নিয়ে রীতিমতো অপরাধবোধে ভোগেন। এই ভারসাম্য রেখেই যৌনতার পরিপূর্ণ আনন্দ উপলব্ধির সমস্ত উপায় তিনি ব্যাখ্যা করেছেন তাঁর বইয়ে। লেখিকার দাবি, তিনি কখনওই বিকৃত যৌনতায় উৎসাহ দেননি। বরং নিজের সঙ্গীর সঙ্গেই কীভাবে যৌনতায় পূর্ণতা লাভ করা যায় তারই হদিশ দেবে তার বই। স্বামীর থেকে পূর্ণ তৃপ্তি পাওয়ার অধিকার যে আছে স্ত্রীর-এই ব্যাপারটিই ভয় ভাঙিয়ে তিনি মহিলাদের মনে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন।
আপাতত এ বই নিয়েই চলছে বেজায় সমালোচনা। যৌনতা নিয়ে এরকম একটা বইয়ের দরকার ছিল বলেই মানছেন কেউ। কেউ কেউ আবার এ নিয়ে নিন্দায় সরব।
‘মুসলিম হালাল সেক্স গাইড’এই বইটি নিয়ে বিশ্বে এখন তোলপাড
Date:
Share post: