নানা বিতর্ক ও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকেই ফেসবুক লাইভে এলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সমুদ্র পাড়ে দাঁড়িয়ে দেওয়া এ ভিডিওবার্তায় তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্র ও নদী রক্ষা, এবং টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন।
লাইভে সারজিস বলেন, “এনসিপি ২৪ দফার ইশতেহার দিয়েছে। এর ২১ নম্বর দফায় বলা হয়েছে জলবায়ু সহিষ্ণুতা এবং নদী ও সমুদ্র রক্ষার কথা। আমাদের বিশাল সম্ভাবনার জায়গা হলো এই সমুদ্র। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—কীভাবে আমরা আমাদের বায়োডাইভারসিটি এবং উপকূলীয় জনগণের জীবনধারা রক্ষা করব।”
তিনি আরও বলেন, “সমুদ্র থেকে খনিজ সম্পদ আহরণ, টেকসই উন্নয়ন এবং দুর্যোগ পূর্বাভাস যেন সময়মতো পাওয়া যায়—এই বিষয়গুলোতে সরকারের বড় দায়িত্ব রয়েছে। আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে পারলে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব।”
কক্সবাজারে অপরিকল্পিত নির্মাণ ও ভূমি দখলের প্রসঙ্গ টেনে সারজিস অভিযোগ করেন, “এখানে যেখানে-সেখানে ভবন তোলা হচ্ছে, জমি দখল করা হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে সৈকতের জমি লিজ নেওয়া হচ্ছে, এমনকি প্রাচীর তোলা হচ্ছে। এসব রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।” ভিডিওবার্তায় তিনি পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক সচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এদিকে, এনসিপির রাজনৈতিক পর্ষদকে না জানিয়ে ৫ আগস্ট কক্সবাজার সফরে যাওয়ায় সারজিস আলমসহ পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে দলটি। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের’ বর্ষপূর্তির দিন এই সফর কেন করা হলো, সে বিষয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দলের দুই শীর্ষ নেতার কাছে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।