সোমবার বেলা ১১টার দিকে বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন হোসেন মোল্লাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, সুমন হোসেন মোল্লাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে জেলা ছাত্রলীগের সুপারিশপত্র ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সুমন হোসেন মোল্লাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন।
চাঁদা না দেয়ায় বরিশালের বানারীপাড়ার বেতাল গ্রামে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন হোসেন মোল্লাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত সুমন হোসেন মোল্লা বেতাল গ্রামের মৃত খবির উদ্দিন মোল্লার ছেলে এবং বানারীপাড়ার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।
এর আগে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধর্ষণ মামলায় বরিশাল নগরীর কালীবাড়ি রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, আসামি সুমন হোসেন মোল্লা তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের খবর পেয়ে বরিশাল নগরীতে আত্মগোপন করেছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোর্সের মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বানারীপাড়া থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাকে নগরীর কালীবাড়ি রোড থেকে গ্রেফতার করে।
রোববার বিকেলে ধর্ষিতা নববধূ বাদী হয়ে বানারীপাড়া মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন হোসেন মোল্লা ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জন সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে।
বানারীপাড়া সার্কেলের এএসপি শাহাবুদ্দিন কবীর জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সুমন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।