আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতিতে চলমান সিম পুনর্নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ রাত ১২টার মধ্যে যেসব সিম পুনর্নিবন্ধিত হবে না, সেগুলো আগামীকাল থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। অনিবন্ধিত মোবাইল সিম নিষ্ক্রিয় হলেও তা সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন করে পুনরায় চালু করতে পারবেন গ্রাহক। নিষ্ক্রিয় হওয়ার দিন থেকে ৫৪০ দিনের মধ্যে তা না করলে ওই গ্রাহক তার সিমের স্বত্ব হারাবেন; অর্থাৎ অপারেটর তা অন্য যে কারও কাছে বিক্রি করতে পারবে।
আগের নির্দেশনায় নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ৩১ মের পর অনিবন্ধিত সিম টানা দুই মাস বন্ধের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও সোমবার অপারেটরদের নতুন নির্দেশনা পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাব অনুযায়ী, গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১০ কোটি ১৫ লাখের বেশি সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে সক্রিয় সিম আছে ১৩ কোটি ১৯ লাখ। অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি সিম এখনো পুনর্নিবন্ধন-প্রক্রিয়ার বাইরে আছে।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন-প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। প্রথমে নিবন্ধনের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল নির্ধারণ করা হলেও পরে তা এক মাস বাড়িয়ে ৩১ মে করা হয়। অপারেটর সূত্রে জানা গেছে, সিম নিবন্ধনের নতুন এ প্রক্রিয়া চালুর পর গত সাড়ে ৫ মাসে নতুন করে ৭২ লাখ সিম নিবন্ধিত হয়েছে। নতুন সিম নিবন্ধনের সংখ্যা বাড়লেও প্রায় ৩ কোটি সিম বন্ধ হয়ে গেলে তা মুঠোফোন অপারেটরদের আয় এবং এ খাতের প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তবে গত রবিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছিলেন, আমরা যখন এ প্রক্রিয়া শুরু করি, তখনই জানতাম, কিছু সিম বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত যত সিম নিবন্ধিত হয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এদিকে অনিবন্ধিত সিমের সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার আবেদন জানিয়ে একই দিন আদালতে একটি আবেদন হয়েছে।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুননির্বন্ধন শেষ হচ্ছে আজ।
Date:
Share post: