ডেস্ক নিউজ : আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সবশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন এ ক্রিকেটার।
মাশরাফি ছাড়াও নতুন আরো পাঁচজন প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও বিপিএল এর চেয়ারম্যান শেখ সোহেল, এড. বেলাল হোসেন, ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ও বাহাদুর বেপারী।
এবারের যুবলীগের এই সংগঠনে সাবেক ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন জেলা থেকে ওঠে আসা নতুন মুখ রয়েছে ৩০ জন। সিসি কমিটি থেকে ৪০ জন, নানক-আজম ও গত কমিটি থেকে নতুন পুরাতনের সমন্বয় করে ২০১ সদস্য কমিটি করা হয়েছে।
এছাড়া এই কমিটিতে কয়েকজন সাংবাদিকের জায়গা হয়েছে। বাদ পড়েছে যুবলীগের গত কমিটিতে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও ৫৫ বছরের বেশি বয়স হওয়ায় প্রায় ৭৩ জন।
সাবেক যুগ্ম সম্পাদকদের মধ্য থেকে তিনজন
সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্য থেকে দুজন
সম্পাদকমণ্ডলী থেকে চারজন ও উপ-সম্পাদক এবং পুরাতন মিলে ২৯ জন প্রেসিডিয়াম করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে চার জনের নাম বাকি রাখা হয়েছে।
প্রেসিডিয়াম সদস্যরা হলেন- অ্যাডভোকেট বেলাল, আতাউর রহমান আতা, মোতাহার হোসেন সাজু, মনজুর আলম শাহিন, সুব্রত পাল, অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, আবু আহমদ ফাহিম পাবেল, ফারুক হোসেন তুহিন, এমরান হোসেন, সুবাস চন্দ্র হাওলাদার (সাবেক অর্থ সম্পাদক), ফজলুর রহমান মেজবা, সাজ্জাদ হায়দার লিটন (সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক), আসাদুল হক আসাদ (সাবেক জন শক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক), মশিউর রহমান বাদশা (সাবেক উপ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক), অধ্যাপক নবী নেওয়াজ।
নিক্সন চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন আলোচিত নেতা বাদ পড়েছেন এ কমিটি থেকে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পাঁচ থেকে সাতজন করা হয়েছে, তারা হলেন- সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, সাবেক সহ-সম্পাদক হাবিবুর পবন, সাবেক সদস্য ব্যারিস্টার শেখ নাঈম, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মাহামুদ হাসান রিপন ও মাহফুজুর হায়দার চৌধুরী রোটন। এছাড়া আরো দুজনের নাম খালি রাখা হয়েছে।
গত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ ছিল ৯টি। এবার ২টি বাড়িয়ে ১১টি করা হয়েছে; তারা হলেন- সাবেক উপ-প্রচার সাইফুল ইসলাম দুর্জয়, উপ-গ্রন্থাগার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, সাইফুর রহমান সোহাগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির, সাবেক সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমান, সহ-সম্পাদক আব্দুল হাই। এছাড়া আরো তিনটি পদ শূন্য রাখা হয়েছে।
দফতর সম্পাদক সাবেক সহ-সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু। উপ-দফতর সম্পাদক তিনজন। শেখ রাসেল ও দেলোয়ার হোসেন দুজনই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এ পদে আরেক জনের নাম খালি রাখা হয়েছে।
প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে আরো তিনজনকে। সাবেক সদস্য ব্যারিস্টার আলী আসিফকে করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।
এছাড়া যুবলীগের গত কমিটিতে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও ৫৫ বছরের বেশি বয়স হওয়ায় প্রায় ৭৩ জন বাদ পড়েছেন।
১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক যুব কনভেনশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে যুবলীগ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আদলে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয় এই সংগঠন।
গত চার দশকের বেশি সময় ধরে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও হাজারো নেতা-কর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে।