ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে আটক হয়েছে। ভারতের উত্তর প্রদেশে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার দলিত সম্প্রদায়ের তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর), নির্যাতিতার বাড়িতে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে উত্তর প্রদেশের হাইওয়ে থেকে পুলিশের হাতে আটক হলেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় পদে পদে বাধার মুখে পড়েন রাহুল। যমুনা সেতুতে পুলিশের সঙ্গে প্রবল ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পুলিশের গলাধাক্কায় পড়ে যান তিনি।
পুলিশ জানায়, পরিস্থিতি বেসামাল হওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে হাতরাসে। রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা সেই নির্দেশ অমান্য করতেই শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি।
রাহুল গান্ধী সংবাদমাধ্যমকে জানান, আমাদের গাড়ি আটকে দিয়েছে, তাই আমরা পায়ে হেঁটেই যাচ্ছিলাম। এর মধ্যেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়া হয়। এ দেশে কি শুধু নরেন্দ্র মোদীই হাঁটবেন? সাধারণ মানুষের হাঁটারও অধিকার নেই?”
এদিকে, ধর্ষণের এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় নয়াদিল্লির উত্তরপ্রদেশ ভবন ও ইন্ডিয়া গেটের সামনে থেকে ৩২ জন জন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
উল্লেখ্য, ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দিল্লির সফদর জং হাসপাতালে মারা যান ধর্ষণের শিকার ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী। গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশে হাতারাস এলাকায় ওই নারীকে ধর্ষণ ও নিপীড়ন চালায় উচ্চবর্ণ হিন্দুদের চার ব্যক্তি। অথচ ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেনি চিকিৎসকরা। বলা হয় গলার ফাঁস লাগিয়ে তাকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে চার ধর্ষককে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে দিল্লির সফদর জং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।