করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ব্যর্থতার দায়ে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করলেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। আজ মঙ্গলবার (২৩ জুন) ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০২০-২০২১ এ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি করেন। হারুনুর রশীদ বলেন, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিকলঙ্গ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এর পরিবর্তন করা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেন। সরিয়ে দিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যক্তিদের বসান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সফরে আসা চীনা বিশেষজ্ঞ দল দেশের করোনা পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করেছে। তাই এই যে সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকট জাতীয় সংকট। এই সংকট উত্তরণের জন্য জাতীয় ঐক্যমত গড়ে তুলুন। খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক নেতাদের মামলা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, করোনা এমন সময় বাংলাদেশে আঘাত করেছে, যখন দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। রেমিটেন্স ছাড়া সমস্ত কিছু ছিল একেবারে নিম্নমুখী। ব্যাংক খাত শেয়ার বাজার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এমন নাজুক। এই খাতগুলোরই দরকার ছিল প্রণোদনার। তাই দুর্বল অর্থনীতি নিয়ে করোনা মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের সুশাসন ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় খুবই দরকার। এর বড়ই অভাব রয়েছে। সরকার কিছু প্রণোদনা ঘোষণা করেছে এটি পর্যাপ্ত কি না? বাস্তবায়ন সক্ষমতা আছে কি না সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। হারুনুর রশীদ অধিবেশনে তার বক্তব্য শুরু করেন ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ বলে। এ নিয়ে ডেপুটি স্পিকার প্রশ্ন এর কারণ জানতে চান। এটা দিয়ে কোন বক্তব্যের শুরুর রেওয়াজ আমি আমার ৭ মেয়াদে কোন এমপির মধ্যে দেখিনি। এর উত্তরে হারুন বলেন, আমি এর ব্যাখা পরে দেব। তিনি বলেন, করোনা উত্তর ভবিষ্যৎ অর্থনীতি পথক্রমের জন্য যে ধরণের বাজেট প্রণয়ন দরকার ছিল সেটি সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হযেছে। বাজেট সংশোধিত আকারে প্রকাশ করার অনুরোধ করেন। প্রস্তাবিত ২০২০-২০২১ এ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় এক পর্যায়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তার ওই শব্দগুলো সংসদ কার্যক্রম থেকে এক্সপান্স করা হয়। শেষ দিকে কথা বলার সুযোগ চাইলে সময় বৃদ্ধি না করলে তিনি ওয়াকআউট করেন।