উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার । সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সরকার চালিয়ে যাচ্ছে নিবিড় প্রচেষ্টা । অজপাড়া গাঁয়ে রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটিই সরকারের সেই প্রচেষ্টার উপযুক্ত প্রমাণ বহন করছে। এমনকি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপাঞ্চলকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসার মতো স্বপ্নও ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার। ১৪৫ কোটি টাকা খরচ করে চট্টগ্রাম জেলার একমাত্র দ্বীপথানা সন্দ্বীপে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ থেকে । আগে তেলে চালিত জেনারেটর দ্বারা ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে মাত্র আড়াই হাজার গ্রাহককে দৈনিক ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করতো পিডিপি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুনজর এবং সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতার প্রচেষ্টায় সন্দ্বীপের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে তৎপর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা। কিন্তু সে প্রচেষ্টাকে বাধা গ্রস্ত করছে কিছু দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ। ঘরকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করতে মুখিয়ে থাকা সাধারণ জনগণকে তারা ভুল বুঝিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ক্ষুন্ন করছে সরকারের ইমেজ। তদবির করে বিদ্যুৎ এনে দেয়ার নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ ওঠেছে সারিকাইত ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মোঃ আকতার হোসেন শিবলীর বিরুদ্ধে। এতে সচেতন জনসাধারণের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। জনগণের অভিযোগ আওয়ামীলীগ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কিছু অনৈতিকতা চর্চাকারি মানুষের ছত্রছায়ায় এসব অবৈধ লেনদেন করে যাচ্ছে আক্তার হোসেন শিবলী। আক্তারের বিরুদ্ধে ৬নং ওয়ার্ড মুরাদের গো নতুন বাড়ির ১৫টি পরিবার থেকে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠলে ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর সাথে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযোগ ওঠে একই ওয়ার্ডে বসবাসকারি জেবল হক সেরাং এর বাড়ি, সোবহান মেম্বারের বাড়ি এবং মুরাদের গো পুরাতন বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি থেকে ঘর প্রতি ৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থের দাবি করে আক্তার হোসেন শিবলী । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এলাকাবাসি অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সন্দ্বীপবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর এই উপহারকে বিতর্কিত করতে এরা উঠে পড়ে লেগেছে। এলাকাবাসীর দাবি এ সকল সমস্যার দ্রুত সমাধান করে কর্তৃপক্ষ যেনো সাধারণ জনগনকে এমন প্রতারণা ও হয়রানি থেকে রক্ষা করে।