৭ দিনে ১৩০০ কুকুরকে খাবার দিয়েছেন নায়লা নাঈম

Date:

Share post:

করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্থবির সারাদেশ। নগরজীবন বেশি বিপর্যস্ত। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শোবিজের তারকারাও গৃহবন্দী। এর মধ্যে নিজেদের সামর্থ অনুযায়ি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তবে তারকাদের মধ্যে ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মডেল ও অভিনেত্রী নায়লা নাঈম!

স্থবির সময়ের মধ্যেও আলোচিত এ মডেল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে পথের কুকুরদের খাবারের যোগান দিচ্ছেন।

বুধবার বিকেলে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে নায়লা নাঈম বলেন, আজও ৮০টির মতো কুকুর খাইয়ে এসেছি। লকডাউনের কারণে কেউ বের হতে পারছে না। আগে চায়ের দোকান, হোটেল থেকে খাবার পেয়ে খেতে পারতো রাস্তার কুকুরগুলো। কিন্তু এখন সব বন্ধ থাকায় তাদের খাবারের উৎস নেই। এতে করে রাস্তার প্রাণী বিশেষ করে কুকুর অনাহারী থাকছে। মানবিকতার জায়গা থেকে আমি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পথের কুকুরদের খাবার দিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, গত ৭ দিনে রামপুরা, খিলগাঁও চৌরাস্তা, রাজারবাগ, বনশ্রী, আফতাবনগর, বাড্ডা, লিংক রোড, হাতিরঝিল, গুলশান-১ সহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১৩০০ কুকুরের খাবারের ব্যবস্থা করেছি। একবার খাওয়ালে কয়েকঘন্টা তাদের খাবারের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশের হাজারও সংগঠন খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু রাস্তায় এসব নিরীহ পশুদের জন্য এখন কাউকে দেখা যাচ্ছে না।

যতদিন নগরীতে লকডাউন অবস্থা চলবে ততোদিনই নায়লা নাঈম নিজের সামর্থ্য দিয়ে রাস্তার কুকুরদের খাইয়ে যাবেন বলে জানান। বিগত ১২ বছর ধরে প্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করছেন নায়লা নাঈম। রাস্তায়, বাড়িতে অসুস্থ পশুপাখি দেখলেই নিজে চিকিৎসা দিয়ে পুনর্বাসনের চেষ্টা করেন।

তিনি বললেন, করোনার আগে থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে দৈনিক ৪০-৫০ টি কুকুরকে খাওয়াই। যেখানেই যাই সেখানেই চেষ্টা করি হেল্প করার। আগে যারা আমার মতো পশুপাখির খাবার দিতো এখন লকডাউনে হয়তো ঘর থেকেই বের হতে পারছে না। তাই আমি আমার পক্ষ থেকে এখন যতটুকু পারছি কাজ করার চেষ্টা করছি।

নায়লা নাঈম বলেন, একেক দিন একেক এলাকায় নিজের স্কুটি নিয়ে বের হই। সাথে থাকে খাবার। মুরগীর বিভিন্ন উচ্ছিষ্ট। কুকুর রাস্তায় সামনে পেলেই খাওয়াই। বসে বসে তো খাওয়ানো সম্ভব নয়। আমার কোনো অর্গানাইজেশন নেই যে সেখান থেকে এসব খাবারের যোগান আসবে। আমি নিজেই কিনে দিচ্ছি। এরমধ্যে মাইশা এবং শিমু নামে দুজন আপু আমাকে সাহায্য করেছেন।

তিনি বলেন, যতটুকু করার চেষ্টা করছি এটা পুরোপুরিটাই মানবিকতা। পশুপাখি ছাড়াও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। করোনাভাইরাস ছাড়াও দুর্ঘটনাতেও মৃত্যু হতে পারে। মারা গেলে এই টাকাপয়সা কী হবে? তাই চেষ্টা করি যতটুকু পারি প্রয়োজনে পাশা থাকার। সেটা মানুষ হোক বা প্রাণী হোক।

এরআগে করোনার এই দুঃসময়ে অভিনেত্রী জয়া আহসানকে দেখা গেছে খাবার নিয়ে রাস্তার কুরুকুরগুলোর পাশে দাঁড়াতে। তিনিও গত এক সপ্তাহ ধরে মগবাজার এলাকার বিভিন্ন গলিতে কুকুরদের নিয়মিত খাবার দিচ্ছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

আবারো এস আলমে আগুন 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় এস আলম গ্রুপের চিনির গুদামের পর এবার তেলের মিলে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের...

জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার চেষ্টার সময় গুলি বিনিময়

সময় ডেস্ক সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে অন্য একটি জাহাজ। দুই...

শেষ ম্যাচে ভুটানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

সময় স্পোর্টস ডেস্ক সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। ১০ মার্চ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাঠে...

নারী দিবসে নারী কর্মীদের সম্মান জানিয়ে এবারই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছেন নারী কর্মীরা

সময় ডেস্ক আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন নারীরা। রাজধানীর শাহজালাল...