কেরোসিন ঢেলে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে উম্মে সুলতানা পপি।

Date:

Share post:

কেরোসিন ঢেলে মাদ্রাসাছাত্রী সরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে উম্মে সুলতানা পপি। নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার আগে পপি তাকে (নুসরাতকে) ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বলে ালতে দেয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছে।

শুক্রবার ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহম্মেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানিয়েছে পপি।

নুসরাতকে যৌন হয়রানির মামলায় জেলে থাকা ইসলামিয়া জিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার ভাগ্নি পপি। এবং একই মাদ্রাসার র্থী।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর চট্টাম বিভাগীয় স্পেশাল এসপি মো. ইকবাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পপি আদালতের কাছে স্বীকার করেছে, সে ঘটনার সঙ্গে ্যক্ষভাবে জড়িত ছিল।’

তার নাম পপি হলেও ঘটনার দিন খুনিরা তার পরিচয় গোপন রেখে ‘শম্পা’ নামে ডাকে। সেজন্য নুসরাতও তাকে ডেকে নেওয়া বোরকাপরিহিত মেয়েটির নাম শম্পা বলে গিয়েছিল।

পপি ছাড়াও এর আগে মামলার চার আসামি নুসরাতকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তারা হলো- মামলার এজহারভুক্ত আসামি নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরীফ ও হাফেজ আবদুল

এদিকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জাবেদ হোসেনকে একই বিচারক আরও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। সাত দিনের রিমান্ড শেষে পুলিশ তাকে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার করলে আদালত তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এছাড়া নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অংশ নেওয়া তার বান্ধবী কাুন নাহার মণিকে নিয়ে গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পিবিআই কর্মকর্তারা।

গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে থানায় মামলা করেন নুসরাতের মা। এরপর থেকেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পরিবারটিকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তবে প্রতিবাদে অনড় ছিলেন নুসরাত।

গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় বোরকা পরা ৪/৫জন নুসরাত জাহান রাফিকে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ১০ এপ্রিল বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।

চাঞ্চল্যকর এই মামলার আসামিদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একে একে গ্রেপ্তার করা হয় এজাহারভুক্ত আট আসামিসহ ১৮ জনকে। এর মধ্যে ১০ এপ্রিল সোনাগাজী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পপিকে। এরপর ১১ এপ্রিল তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে পপি আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

একটা চেয়ারের জন্য এতকিছু

সাবেক সংসদ সদস্য,রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন,এই ভদ্রলোক (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম)...

আলাস্কার উপকূলে ৩ হাজার গাড়িবাহী জাহাজে আগুন

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার উপকূলে প্রায় ৩ হাজার গাড়ি বহনকারী একটি কার্গো জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮০০টি ইলেকট্রিক গাড়িসহ...

সন্ধ্যায় জেল থেকে বেরিয়ে রাতে ডাকাতির চেষ্টা, পিস্তলসহ গ্রেপ্তার ৩

সন্ধ্যায় জেল থেকে বেরিয়ে রাতে পশুর হাটে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বের হওয়া তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ...

কামাল মজুমদার এবার অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার

রাজধানীর বনানী থানার অস্ত্র আইনের এক মামলায় সাবেক শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি...