
রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের এমন একটি জায়গায় যেখান থেকে নারী পাচার হয় বলে বিস্তর অভিযোগ এবং প্রমাণ রয়েছে।
এই পাচারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের সচেতন করতে সেখানে প্রচারণা চালাতে গিয়েছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কিছু নারী-পুরুষ।
পথ-নাটিকার মাধ্যমে তারা প্রচার চালাচ্ছিল খুন্টি নামক একটি জেলার এক দূরবর্তী এলাকায়।
পুলিশ বলছে, নাটক শেষ হওয়ার পরে তারা এক স্থানীয় মিশনারি স্কুলে গিয়েছিল। আর সেখানেই কয়েকজন বন্দুকধারী হানা দেয়।
পুরুষ স্বেচ্ছাসেবীদের মারধর করে সরিয়ে দিয়ে পাঁচ জন নারী কর্মীকে গাড়িতে তুলে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায় তারা।
সেখানে ঐ নারীদের তাদের গণধর্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের রাঁচি রেঞ্জের ডিআইজি এ ভি হোমকার।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ওই নারীদের চিহ্নিত করে সুরক্ষিত রাখা হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই তাদের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
“৪-৫ জন দুষ্কৃতির নাম আমরা জানতে পেরেছি। তবে তিনজনকে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের গ্রেপ্তারের জন্য তিনটি আলাদা দল গঠন করে তল্লাশি চলছে,” – বিবিসিকে জানিয়েছেন আরেক পুলিশ কর্মকর্তা।
যে অঞ্চলে এই গণ-ধর্ষণের ঘটনা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় গ্রামগুলিকে চারদিক থেকে পাথর দিয়ে ঘিরে রাখেন সেখানকার বাসিন্দারা। তারা নিজেদের স্বাধীন বলে মনে করেন এবং বহিরাগতদের বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে দিতে চান না।
অথচ ওই এলাকা থেকেই বহু নারী বাইরে পাচার হয়ে যায়। তাদের বিভিন্ন শহরে নিয়ে গিয়ে মূলত যৌন পেশায় কাজ করানো হয় বলে বিস্তর অভিযোগ প্রমাণ রয়েছে।
Source from: http://www.bbc.com/bengali/news-44576563