বর্তমান সরকারের শাসনে বাকশালের বাস্তবরূপ দেখছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বলেছেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে এই সরকার। একদলীয় দুঃশাসনের করাল গ্রাসে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে গিলে ফেলা হয়েছে।
স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. মিলনের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
১৯৯০ সালের ২৭ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের একপর্যায়ে চিকিৎসক নেতা শামসুল আলম খান মিলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
দেশের গণতন্ত্র গভীর খাদের কিনারে গিয়ে পড়েছে এমন দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘গণতন্ত্রের শত্রুরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা অপহরণ করা হয়েছে। মানুষের কথা বলা ও ভোটের অধিকার হরণ করে অতীত বাকশালের দুঃস্বপ্ন এখন ভয়াল রূপ ধারণ করে বাস্তব রূপ লাভ করেছে। গণতন্ত্র ধ্বংসকারী অপশক্তিগুলোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
গণতন্ত্রকে মজবুত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হবে এমন মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন সামরিক শাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় নাম। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন তিনি।
ডা. মিলনের রুহের মাগফেরাত কামনা করে তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী শাসনের শৃঙ্খল থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি শহীদ হয়েছিলেন। গণতন্ত্রের জন্য তার এই সর্বোচ্চ আত্মদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সব কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ডা. মিলন আমাদের প্রেরণার উৎস।’