রাজধানীর ৩৫টি সরকারি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ফরম বিতরণ শুরু হবে ৩০ নভেম্বর। ওই দিন রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে অনলাইনে এই আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। জমার কাজ চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিটি আবেদনপত্রের মূল্য ১৫০ টাকা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণি থাকা বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারি হবে ২৪ ডিসেম্বর। এ ছাড়া সবগুলো বিদ্যালয়কে তিনটি গুচ্ছ করে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা হবে যথাক্রমে ১৭, ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর।
এ ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে গত বছরের মতোই ৫০ নম্বরের এক ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ১০০ নম্বরের ২ ঘণ্টার পরীক্ষা নেওয়া হবে।
আর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে বাংলা ১৫, ইংরেজি ১৫ ও গণিতে ২০ নম্বর করে মোট ৫০ নম্বরের এক ঘণ্টার এবং অন্যান্য শ্রেণিতে বাংলা ৩০, ইংরেজি ৩০ ও গণিতে ৪০ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের দুই ঘণ্টার পরীক্ষা নেওয়া হবে।
দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি হবে। তবে উপজেলা পর্যায়ের স্কুল, যেখানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা পর্যাপ্ত নয়; সেসব প্রতিষ্ঠান চাইলে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতেও ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। আর বেসরকারি স্কুল যাদের সক্ষমতা রয়েছে, তাদের অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
গত বছরের মতো এবারও ঢাকা মহানগরীর সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তিতে নিজ নিজ এলাকার জন্য ৪০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ থাকবে। সরকারি স্কুলের জন্য এলাকা নির্ধারণ করে দেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর।
এ ছাড়া ৪০ শতাংশ এলাকা কোটার বাইরেও এবার ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, দুই শতাংশ প্রতিবন্ধী, এক শতাংশ লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের শিশু ও দুই শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বাকি ৫০ শতাংশ আসনে সব শিশুই আবেদন করতে পারবে।