জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে মিয়ানমার

Date:

Share post:

বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে ৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, মিয়ানমার সীমান্তের জিরো লাইনে আটকে পড়া প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফেরত নিতে রাজি হয়েছে।

আজ দু’দেশের সীমান্তে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়।

ঐ বৈঠকের পর বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, তারা জিরো লাইনে আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ফেরত নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। কেননা এরা এখনও সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার ভূখন্ডের ভেতরেই রয়েছেন।

তবে মিয়ানমার এদেরও একটি তালিকা তৈরি করতে আগ্রহী।

এই রোহিঙ্গারা বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনে গত ছ’মাস ধরে আটকা পড়ে আছেন। আন্তর্জাতিক রেডক্রস এবং ইউএনএইচসিআর তাদের খাদ্য ও ত্রাণের ব্যবস্থা করছে। এদের ফিরিয়ে নেবার জন্য জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে এক বৈঠকে ঐকমত্য হয়েছিল।

আজ দুই দেশের প্রতিনিধিদল নো-ম্যানস ল্যান্ডে তাদের শিবিরগুলো পরিদর্শন করে, এবং রোহিঙ্গা নেতাদের সাথেও দু’পক্ষের কথা হয়।

বাংলাদেশের শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম বলেন, তারা বলেছে যে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ যদি তাদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করতে পারে তাহলে তারা তাদের গ্রামে ফিরে যেতে ইচ্ছুক।মিয়ানমারের একটি রোহিঙ্গা গ্রামের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িঘর

বিবিসি বাংলাকে মি. কালাম বলেন, মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের আমরা বলেছি যেন তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেন, যেন রোহিঙ্গারা তাদের নিজ ভিটেতে ফিরে যেতে পারে।

“এই লোকগুলো যেহেতু এখনো বাংলাদেশের ভুখন্ডে নি এবং মিয়ানমারের সীমার ভেতরেই রয়েছে – তাই এদের কোন ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন নেই বলেই আমরা মনে করি। এ কথা আমরা মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের বলেছি। ”

“তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে যারা নো-ম্যানস ল্যান্ডে আছে তাদের ফিরিয়ে নেবার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

তাদের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে বলে জানান তিনি।

কবে নাগাদ প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে তার কোন নির্দিষ্ট সময় মিয়ানমারের কর্মকর্তারা বলেন নি, জানিয়েছেন মি. কালাম।

“কোন নির্দিষ্ট তারিখ তারা দেয় নি” – বলেন তিনি।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবুল মান্নান বিবিসি বাংলাকে বলেন, আমরা ফলপ্রসু সভা করেছি। রোহিঙ্গাদের বক্তব্য শুনেছি। মিয়ানমারের কর্মকর্তারাও ছিলেন।

“রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিরা সামনা সামনি কথা বলেছে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে । তারা বলেছে তারা কি চায়” – বলেন মি. মান্নান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

আবারো এস আলমে আগুন 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় এস আলম গ্রুপের চিনির গুদামের পর এবার তেলের মিলে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের...

জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার চেষ্টার সময় গুলি বিনিময়

সময় ডেস্ক সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে অন্য একটি জাহাজ। দুই...

শেষ ম্যাচে ভুটানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

সময় স্পোর্টস ডেস্ক সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। ১০ মার্চ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাঠে...

নারী দিবসে নারী কর্মীদের সম্মান জানিয়ে এবারই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছেন নারী কর্মীরা

সময় ডেস্ক আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন নারীরা। রাজধানীর শাহজালাল...