জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলার রায় দেয়ার সময় বিচারক উল্লেখ করেছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিণতি হল এই হত্যাকাণ্ড।
অতীতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটা হত্যাকাণ্ড বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় এধরনের ঘটনা ঘটছে বলে আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করে।
বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই বহুল আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন।
একই সাথে বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারা-দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় জন আসামীর মধ্যে দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
যাবজ্জীবন-দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য চারজনকে আদালত খালাস দিয়েছেন।
দণ্ডিতরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র এবং ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল।বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ ২০১২ সালের ৮ই জানুয়ারি ছাত্রলীগের মধ্যে অন্তর্কলহের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতরভাবে আহত হন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পর দিন তিনি মারা যান।
তার হত্যার পর ক্যাম্পাসে এ নিয়ে যে তীব্র আন্দোলন শুরু হয় তাতে সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
এই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালে পাঁচ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে একটি বড় অংশ মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছে।