অং সান সু চির ‘ফ্রিডম অব দি সিটি অব অক্সফোর্ড অ্যাওয়ার্ড’ প্রত্যাহার।

Date:

Share post:

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়ন নিয়ে সমালোচনার মধ্যে থাকা দেশটির নেত্রী অং সান সু চির ‘ফ্রিডম অব দি সিটি অব অক্সফোর্ড অ্যাওয়ার্ড’ প্রত্যাহার করেছে শহর কর্তৃপক্ষ।
মিয়ানমারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৭ সালে তাকে এই সম্মাননা জানিয়েছিল যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল।

তবে এখন আর তার জন্য এ সম্মাননা ‘যথোপযুক্ত নয়’ বলে সিটি কাউন্সিলে একটি প্রস্তাব পাস হওয়ার কথা জানিয়েছে বিবিসি।

মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গার পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর পদ নিয়ে কার্যত সরকারপ্রধান অং সান সু চি।

রোহিঙ্গাদের ওপর এই সহিংসতাকে ‘জাতিগত নিধনের’ চেষ্টা হিসেবে দেখছে জাতিসংঘ। সেখানে ‘গণহত্যা’ চলছে বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভাষ্য।

রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এই নিষ্ঠুরতা ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় সমালোচিত সু চিকে দেওয়া সম্মাননা গত মাসে স্থগিত করে যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন- ইউনিসন।

গত সপ্তাহে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেন্ট হিউ কলেজ থেকে সু চির প্রতিকৃতি সরিয়ে নেওয়া হয়। কলেজটির মূল ভবনের প্রবেশপথে থাকা তার ছবির জায়গায় জাপানি একজন চিত্রকরের একটি চিত্রকর্ম বসানো হয়েছে।

সেন্ট হিউ কলেজ থেকে ১৯৬৭ সালে স্নাতক ডিগ্রি নেন সু চি। তার স্বামী ড. মাইকেল অ্যারিস এক সময় ওই কলেজে শিক্ষকতাও করেছেন। সু চি গৃহবন্দি হওয়ার পর ১৯৯৩ সালে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেয় অক্সফোর্ড। ওই ডিগ্রি তিনি গ্রহণ করেন মুক্তি পাওয়ার পর, ২০১২ সালে।

গণতন্ত্রের দাবিতে অহিংস আন্দোলনের জন্য ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া সু চি ২০১০ সালে গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি পান।

গ্লাসগো, বাথ, কেমব্রিজসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গত ৩০ বছরে মিয়ানমারের গণতন্ত্রের প্রতীক সু চিকে সম্মানসূচক ডিগ্রি দিয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি শহর ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও তাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও সু চিকে দেওয়া সম্মাননার বিষয়ে পর্যালোচনা করছে বলে বিবিসির ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স সম্পাদক জন সিম্পসন জানিয়েছেন।

“আপনি যা করছেন তা আমরা মেনে নিইনি-একথা বলার এটা একটা সঠিক স্বাভাবিক পথ বলে আমি মনে করি,” বিবিসি রেডিও অক্সফোর্ডকে বলেছেন তিনি।

সু চির সম্মাননা প্রত্যাহারের প্রস্তাবে সমর্থনকারী অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিলের নেতা বব প্রাইস বলছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে মানুষ ‘চরম ক্ষুব্ধ’ এবং দেশটিতে বর্বরতার খবর নিয়ে তার কথা না বলাটা খুবই অস্বাভাবিক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

আবারো এস আলমে আগুন 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় এস আলম গ্রুপের চিনির গুদামের পর এবার তেলের মিলে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের...

জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার চেষ্টার সময় গুলি বিনিময়

সময় ডেস্ক সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে অন্য একটি জাহাজ। দুই...

শেষ ম্যাচে ভুটানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

সময় স্পোর্টস ডেস্ক সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। ১০ মার্চ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাঠে...

নারী দিবসে নারী কর্মীদের সম্মান জানিয়ে এবারই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছেন নারী কর্মীরা

সময় ডেস্ক আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন নারীরা। রাজধানীর শাহজালাল...