মেয়ের সাফল্যের আলোয় আলোকিত লিয়াকত আলীর চোখ। তিনি ভাবতেই পারছেন না তার মেয়ে সানজিদা আজ জাতীয় ফুটবল দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য নাম। আর মেয়ের কারণেই আজ এতবড় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার আগমন। সেই মেয়ের কারণেই কিছু আর্থিক প্রাপ্তি; সবকিছু মিলিয়ে কিছুটা হতবিহ্বল ময়মনসিংহের কলন্দিুরের ধোবাউড়া গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত আলী।
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ সি-এর বাছাই পর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়া মেয়েদের হাতে আর্থিক পুরস্কার তুলে দেয় চার পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান। যাতে উপস্থিত ছিলেন ২৩ ফুটবলারের বাবা-মা। লিয়াকত আলীর আগমনও সে কারণে। যার মেয়ে একেকবার একেকজনকে ডেকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তার সঙ্গে। সেই মেয়ের উপলক্ষে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময়।
এর মাঝেই কথা হয় লিয়াকত আলীর সঙ্গে। জানালেন কখনও কল্পনাতেও আনেননি যে মেয়ে এত খ্যাতি পাবে, ‘না আমি ভাবতেই পারিনি আমার মেয়ে এতোদূর পৌঁছাবে। আজ আমার খুশির শেষ নেই, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে গর্বিত।’
মেয়ের ফুটবল খেলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে লিয়াকত বলেন, ‘মেয়ে আমার নিজে নিজেই ফুটবল খেলায় এসেছে। যদি বলি যে আমি তাকে ছোটবেলায় ফুটবল খেলায় আসতে উৎসাহিত করেছি সেটি বলা ভুল হবে। আমার মতো মানুষের তো এত চিন্তা শক্তি নেই। সে খেলে গেছে, আমরা বলেছি-মা তোমার যদি ভালো লাগে তবে খেলে যাও।তাকে আমরা বাধা দেইনি। সে এগিয়ে গেছে নিজ উদ্যোগেই।’
মেয়ের সাফল্যে আর্থিক সহায়তা পাবেন এটিও ভাবেননি লিয়াকত আলী। হাসি মুখে তিনি বলেন, ‘প্রথম ধন্যবাদটা তো আমি সানজিদাকেই দেবো। ও না হলে তো এটির মুখ আমি দেখতাম না। পরে বাফুফেকে ও অন্যান্যদের; এখন আমি এটি ভালোভাবেই বুঝতে পারছি সানজিদাকে অনেক সাহস দিতে হবে। আমি সবার দোয়া চাই।