সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রধান বিচারপতির কড়া সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, সিনহা সাহেব, আবোল-তাবোল বলার একটা সীমা আছে। এটাও আপনি একটু মনে রাইখেন। হেমায়েতপুরে একটা পাগলা গারদ আছে, এটা তো এমনিতে বানানো হয়নি। আপনার যখন এদেশে কিছুই পছন্দ না, তাহলে দেশ থেকে চলে যান; না হলে চিকিৎসা নিন। হেমায়েতপুরের পাগলা গারদে গিয়ে চিকিৎসা নিন।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রোববার এক মানববন্ধনে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী-সংক্রান্ত রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিয়া বলেন, আপনার মতলবের সীমা নাই, এজন্যই ধরা পড়ে গেছেন। রায়ে বহু অবান্তর কথা বলেছেন। মতলবি কথা কি! জাতির পিতা সমূহ; তাই না?
তিনি বলেন, নারীর সন্তানের পরিচয় একজন পিতার মাধ্যমেই। কোন মহিলা পঞ্চমন্ডবের স্ত্রী হতে পারে, সেটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আপনারে সেই উদার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শেখ হাসিনা দেখলে কী হবে। কয়লা যায় না ধুইলে, ইল্লত যায় না মরলে। সেইটাই আপনে প্রমাণ করছেন।
তিনি বলেন, রায় দিল জুলাই মাসে। আর প্রকাশ করল ঠিক আগস্ট মাসে। যে আগস্ট মাসে বাঙালির শোকের মাস, রক্তক্ষরণের মাস। এই মাসে প্রত্যেকটি স্বাধীনতাকামী মানুষ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন না।…, সেই আগস্ট মাসেই এই বিচারপতি রায় দিলেন। কেন?
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘যখন আওয়ামী লীগের ঔদার্যের সুযোগ নিয়ে প্রধান বিচারপতি হন, তখন বাংলাদেশ খুব ভালো লাগে। আর যখন পেয়ারে পাকিস্তানের দিকে তাকান, তখন হুমকি দেন, পাকিস্তানের কথা বলেন।’
মাননবন্ধনে বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, কোনো এক ব্যক্তির দ্বারা বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি’ বলে প্রধান বিচারপতি যে মন্তব্য করেছেন, তার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের মহানায়ক জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকেই হেয় করার চেষ্টা করেছেন। এর আগে অনেকেই তাঁর মতো চেষ্টা করেছেন কিন্তু সফল হননি, তিনিও সফল হবেন না।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইহতেশামুল হক, বিভিন্ন চিকিৎসক নেতারাসহ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতারা বক্তব্য দেন।