গোপনে রাতের অন্ধকারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে গ্রেপ্তার হয়েছেন পাবনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সোহেল।
গত সোমবার (৭ জুলাই) গভীর রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার রানীতলা থানার পুলিশ হরিরামপুর ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বাংলাদেশের পাবনা সদর থানার অন্তর্গত কাছারিপাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, রানীতলা থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় যে তাদের এলাকায় এক বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বসবাস করছেন। সেই খবরের সূত্র ধরেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অজিত ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে নজরুল ইসলামকে আটক করে।
এরপর তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নজরুল ইসলাম দাবি করেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের পর চরম প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তার ওপর নিপীড়ন, হামলা হয়েছে এবং তার ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত পেয়েছেন তিনি।
নজরুল ইসলাম পুলিশকে বলেন, আমি এলাকায় থাকলে মেরে ফেলা হতো। শেখ হাসিনা যেহেতু ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, আমিও সেই পথে এসেছি নিজের প্রাণ বাঁচাতে। আমার গোপন অনুপ্রবেশের মূল উদ্দেশ্য রাজনৈতিক আশ্রয়।
তবে, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রানীতলা থানার পুলিশ ফরেনার্স আইন ,পাসপোর্ট আইনসহ একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় এবং পরে মুর্শিদাবাদের লালবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
এই ঘটনার পর মুর্শিদাবাদ জেলার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত জুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।