উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা চলতে থাকার মধ্যেই আজ প্রায় হঠাৎ করেই পিয়ং ইয়ং তাদের সুর কিছুটা নরম করেছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামের আমেরিকান সামরিক ঘাঁটির দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরিকল্পনা পর্যালোচনা করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আন – তবে এ পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে।
তবে ‘আমেরিকানরা কি করে তা দেখার জন্য’ এটা আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে।
তবে উত্তর কোরিয়া বলছে, তারা সিদ্ধান্ত নেবার আগে আগামী কিছুদিন ধরে ‘নির্বোধ ইয়াংকিরা কি করে’ তা পর্যবেক্ষণ করবে।
অন্যদিকে এক প্রতিক্রিয়ায় গুয়ামের গভর্নর এডি কালভো বলেছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের কারণে কাজ হচ্ছে বলেই তিনি মনে করেন।গুয়ামে মার্কিন ঘাঁটি
এরই মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন বলেছেন তাদের অনুমতি ছাড়া কোরিয়া উপদ্বীপে কোন ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
আমেরিকা গত কদিনে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যেভাবে দামামা বাজিয়ে চলেছে, তা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া এখন প্রকাশ্যে তাদের অস্বস্তি ও আপত্তি জানাতে শুরু করেছে।
একদিন পর আজও আরও সুর চড়িয়েছেন প্রেসিডন্ট মুন। আজ দক্ষিণ রাজধানী সোল সহ আরো কিছু শহরে হাজার হাজার দক্ষিণ কোরীয় সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের সমর্থণে সমাবেশ মিছিল করেছে। এরপর এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট মুন বলেন, তার দেশের অনুমোদন ছাড়ায় কোরীয় উপদ্বীপে কোনো যুদ্ধ শুরু করা যাবেনা।উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা
তিনি বলেন, “কোরীয় উপদ্বীপে আরেকটি যুদ্ধ হতে দেয়া হবেনা। কোরীয় উপদ্বীপে যে কোনে সামরিক অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত নেবে একমাত্র কোরিয়া প্রজাতন্ত্র। এবং কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের অনুমতি ছাড়া কোনো পক্ষ এখানে যুদ্ধ শুরুর সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
গতকাল সোলে মার্কিন সেনাপ্রধানের সাথে এক বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন স্পষ্টই বলেন, তিনি কোরীয় উপদ্বীপে আরেকটি যুদ্ধ চান না এবং এ সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চান।