ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার (৯ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন। তিনি আলবানিজকে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধের প্রচারণা‘ চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।
সম্প্রতি তিনি গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা নিয়ে নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে এমন অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করা ও গাজায় চলমান গণহত্যায় ইসরাইলকে সহায়তা করছে।
গত বুধবার এক বিবৃতিতে আলবানিজ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহুকে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইউরোপের দেশগুলো তাকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে।
এক পোস্টে আলবানিজ লিখেছেন, ইতালি, ফ্রান্স ও গ্রিসের নাগরিকদের এটা জানা উচিত, আন্তর্জাতিক আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘন করে নেওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ তাদের সবাইকে ঝুঁকিতে ফেলে ও দুর্বল করে দেয়।
এরপরই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, আইসিসিতে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আলবানিজের প্রচেষ্টাই তার ওপর নিষেধাজ্ঞার আইনি ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ইসরাইল প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সংস্থাকে মার্কিন প্রশাসনের হুমকি-ধমকি ও হয়রানি নতুন নয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। ওই আদেশে ইসরায়েলি নেতাদের লক্ষ্য করে কাজ করা আইসিসি কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিধান রাখা হয়। গত মাসেই ট্রাম্প প্রশাসন আইসিসির চারজন বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন আলবানিজ।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আলবানিজ। মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে কাজ করায় ইসরায়েল ও তার মিত্র দেশগুলো বছরের পর বছর ধরে আলবানিজকে তিরস্কার করে আসছে এবং তাকে জাতিসংঘের পদ থেকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছে