এক মিনিটে এক লক্ষ গাছ লাগিয়ে অভিনব উপায়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেষ মুজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর পালিত হয়েছে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়।
বোরহানউদ্দিনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস সময় নিউজকে জানান, সোমবার দুপুর ১২টা এক মিনিটে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, সরকারি অফিস ও বিভিন্ন রাস্তার পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ মোট ৫৬০টি ‘স্পটে’ এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়।
মি. কুদ্দুস বলছিলেন, এলাকার মানুষের মনে গাছ লাগানোর পক্ষে উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্যই একটি নির্দিষ্ট সময়ে এক লাখ চারা রোপণের এই কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছিলেন তারা।
তার কথায়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য কাজ করাই ছিল এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
“একটি করে গাছ লাগাবেন, আর বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করবেন, এ কথাই সবাইকে বলেছিলাম” বলেন মি. কুদ্দুস। বোরহানউদ্দিনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস গাছের চারা রোপণ করছেন
এক লক্ষ গাছের চারা যোগাড় করার জন্য বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন মি. কুদ্দুস ও তার সহকর্মীরা। তিন মাস ধরে এ জন্য কাজ করেছেন স্থানীয় স্কুল-কলেজগুলোর শিক্ষক ও ছাত্ররা।
বন বিভাগের কাছ থেকে ৪০,০০০ চারা সংগ্রহ করেন তারা,আর বাকি ৬০,০০০ চারা আসে স্বরূপকাঠিসহ কাছাকাছি বিভিন্ন এলাকার ২৫টি নার্সারি থেকে।গাছ রোপণের কর্মসূচিতে স্কুলের ছাত্রীরা
“এর মধ্যে আছে ২১ প্রজাতির বনজ, ফলজ ও ওষধি গাছ – যার মধ্যে আছে নিম, মেহগনি, একাশিয়া, আমলকি, অর্জুন ইত্যাদি গাছ। নিকটবর্তী বিদ্যুৎকেন্দ্রে যাবার একটি পথের পাশে লাগানো হয়েছে ১৩০০টিরও বেশি ফুলের গাছ, যার মধ্যে আছে পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, ও জারুল” – বলছিলেন মি. কুদ্দুস।
রাস্তাটির একটি নতুন নামও দেয়া হয়েছে – কুসুম কানন। দু’বছরের মধ্যে এ রাস্তার গাছগুলোতে ফুল ধরবে, বলছিলেন মি. কুদ্দুস।
এই চারাগাছগুলোর তদারকি করার জন্য চৌকিদার সহ বিভিন্ন পেশার লোকদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।