বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা,সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক দল বিপথগামী সৈনিকের হাতে তিনি প্রাণ হারান। এ উপলক্ষে সারাদেশে ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মনসুর রহমান কলকাতায় কেমিস্ট হিসেবে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন। শৈশব ও কৈশোরের একটি সময় গ্রামে কাটিয়ে জিয়া তার পিতার সঙ্গে কলকাতায় ছিলেন। দেশ ভাগের পর করাচিতে চলে যান।
১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তিনি কমিশন লাভ করেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জিয়াউর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধে তিনি একটি সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে গৌরবময় দায়িত্ব পালন করেন। এর স্বীকৃতি হিসেবে তিনি বীরউত্তম খেতাব পেয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে জিয়াউর রহমানের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়ার মহান আদর্শ, দর্শন ও কর্মসূচি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুসংহতকরণ, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং দেশীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির রক্ষাকবচ।
জাতীয় জীবনের সব সংকট, সংগ্রাম ও বিনির্মাণে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থ, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাতকঠিন গণঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’
ঈদুল আজহার কারণে এবার জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এ ছাড়া মসজিদে মসজিদে গণদোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে দুস্থদের মধ্যে চাল-ডাল ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছাড়াও সারাদেশে জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌর ইউনিটগুলো জিয়াউর রহমান স্মরণে আলোচনা সভা, দুস্থদের মধ্যে খাবার, বস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।