জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনয়নে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিসিবি পরিচালক তথা সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব পাওয়ার কথা এক সপ্তাহ আগেই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রস্তাব পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও বিসিবি সভাপতি হওয়ার বিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে চান না আমিনুল। দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে বিসিবির (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) যে কোনো দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত তিনি।
আইসিসি ডেভেলেপমেন্ট অফিসার হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করা আমিনুল পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে থাকেন। সম্প্রতি একটি পারিবারিক প্রয়োজনে দেশে আসার পরই তাঁকে ঘিরে দেশের ক্রিকেটে পালাবদলের হিসাব চলছে। এরই মধ্যে গত পরশু রাতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সঙ্গে তাঁর বাসভবনে দেখা করেছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ।
সেখানে ফারুক আহমেদকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে সরকার বিসিবির শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনতে চায়। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানাতে ফারুক অবশ্য দুই দিনের সময় চেয়েছিলেন। তবে ফারুক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে না চাওয়ায় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালকের মনোনয়ন বাতিল করে তাকে বিসিবির সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
সব ঠিক থাকলে এখন আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেবেন। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন করিয়ে দিতে দায়িত্ব নিতে রাজি বলে জানিয়েছেন, ‘আমাকে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব নিতে এখনও বলা হয়নি। ১০-১৫ দিন আগে আমার সঙ্গে উপদেষ্টার অফিস থেকে যোগাযোগ করা হয়। তারা আমাকে বিসিবি পরিচালক পদে চান। সভাপতি নিয়ে কথা হয়নি। আমি বলেছি, দেশের ক্রিকেটের জন্য যে কোনো দায়িত্ব নিতে রাজি আছি।’
৫৭ বছর বয়সী সাবেক এ অধিনায়ক লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব নিতে চান না, ‘দেখুন, আইসিসিতে আমি একটা দায়িত্বে আছি। তাদের আমি জানিয়েছি যে বিসিবি আমাকে একটা সময়ের জন্য চাইছে। তারা খুশিমনে রাজি হয়েছে এবং বলেছে, আমার জন্য আইসিসির দরজা খোলা থাকবে। তারা হয়তো একটি পদ আমার জন্য খালি রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লম্বা সময় বিসিবিতে থাকার ইচ্ছা আমার নেই। আমাকে হয়তো আবেগপ্রবণ ভাবতে পারেন, তবে একটি দেশের যখন সৈনিক দরকার হয়, ওই সৈনিক কিন্তু পারিশ্রমিক বা নিজের স্বার্থ দেখে না। কাজটাই তাঁর কাছে আগে। দেশের ক্রিকেট আমাকে চেয়েছে। আমি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। বিসিবির নির্বাচন পর্যন্ত কাজ করতে চাই। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া কিংবা দীর্ঘমেয়াদে থাকার ইচ্ছা নেই আমার।’