২০২৫ সালের ২৯ মে সকালে জানা গেলো, বিসিবি সভাপতি হিসেবে ফারুক আহমেদকে আর চায় না সরকার। আগের রাতে (বুধবার মধ্যরাতে) ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া ফারুক আহমেদের সঙ্গে একান্তে কথা বলে সে বার্তাই দিয়েছিলেন।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসের এক আলোচিত দিন শেষে সন্ধ্যায় আসলো আরেক খবর,আপন ভায়রাভাই আকরাম খান ছাড়া বর্তমান বিসিবি পরিচালক পর্ষদের বাকি আট পরিচালকই অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন ফারুক আহমেদের বিপক্ষে।
অনলাইন গণমাধ্যমের সাথে আলাপে বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম ও ইফতিখার রহমান মিঠু জানিয়ে দিয়েছেন,সরকার যেখানে ফারুক আহমেদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তাকে আর চায় না।
আট পরিচালকের ওই অনাস্থার সঙ্গে সঙ্গেই নিশ্চিত হয়ে যায়, ফারুক আহমেদের বিদায় ঘণ্টা বাজতে আর বাকি নেই। বৃহষ্পতিবার রাতে ঘড়ির কাঁটা ১১টা ছোঁয়ার আগেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিজ্ঞপ্তি; ‘বিসিবি পরিচালক হিসেবে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। অর্থাৎ যে প্রক্রিয়ায় ফারুক আহমেদ বিসিবিতে এসে পরিচালক হয়েছিলেন, সেই প্রক্রিয়াটি বাতিল করা হলো। তার মানে ফারুক আহমেদ প্রাথমিকভাবে বিসিবিতে তার পরিচালক পদও হারালেন। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই পরিচালক পদ হারানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি আর সভাপতি পদেও আসীন থাকতে পারবেন না।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, ফারুক আহমেদ এখন কী করবেন? এনএসসি তার মনোনয়ন বাতিল করায় ফারুক আহমেদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া কী? রাত ১টায় নাগাদ ফারুক মুঠোফোনে সময় নিউজকে জানান, ‘আমি আনচ্যালেঞ্জড যেতে দেবো না। ফাইট করে যাবো। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখবো। আমার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। আমি আইসিসিতে জানিয়েছি।’
এরই মধ্যে সেক্রেটারির মাধ্যমে আইসিসি সভাপতি জয় শাহকে পুরো ব্যাপারটি জানিয়েছি। এছাড়া আইসিসির অন্তত ৫-৭ জন পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবগত করেছি।’
ফারুকের জোর দাবি, ‘আমি যে অন্যায়ের শিকার, আমাকে যে জোরপূর্বক পদচ্যুত করা হয়েছে, আমি তা এরই মধ্যে আইসিসির কাছে জানিয়েছি। আমার বিশ্বাস এবং আমি নিশ্চিত আইসিসি ত্বরিৎ তাদের অ্যাকশন শুরু করবে। দেখবেন আগামী ২-১ দিনের মধ্যেই বিসিবিতে আইসিসির চিঠি আসবে।