আবারও প্রকাশ্যে চাপাতির কোপ। এবারের চাপাতির প্রদর্শন হয়েছে রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন সেন্ট্রাল রোড এলাকায়। রোববার রাতে শত শত মানুষের সামনে চাপাতি দিয়ে কোপানোর ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। চাপাতির কোপে গুরুতর আহত ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সাইফ হোসেন মুন্না (৩০) জাতীয় অর্থপেডিক্স ও পুনর্বাসন ইন্সটিটিউটে (পঙ্গু হাসপাতাল) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চাপাতির কোপে মুন্নার হাত ও পায়ের বেশিরভাগ রগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সেন্ট্রাল রোডের পানির পাম্পের সামনের রাস্তায় মুন্না ও তার পূর্বপরিচিত যুবদল কর্মী কালা মামুনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেলে দুই জন ব্যক্তি সেখানে আসার সাথে সাথে মুন্নাকে কালা মামুন জাপটে ধরে রাস্তার ওপর ফেলে দেয়। মোটরসাইকেলের পিছন থেকে যুবদল নেতা রানা নেমে আসেন। তিনি চাপাতি নিয়ে মুন্নাকে কোপাতে থাকেন। মোটরসাইকেলের চালক এমসি শুভ নেমে আসেন। তিনি কলাবাগান থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক। তার মাথায় হেলমেট। পরনে কালো রঙের আল্লাখেল্লা ধরনের পাঞ্জাবি। এমসি শুভ চাপাতি দিয়ে মুন্নার ওপর উপর্যুপরি কোপাতে থাকেন। ওই সময় সেন্ট্রাল রোড দিয়ে প্রাইভেট কার, রিকশা চলাচল করলেও কেউ মুন্নাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। অনেকটা বীরদর্পে এমসি শুভ ও রানা মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আর কালা মামুন ও তাদের আরেক সহযোগী মোবারক হেঁটে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
ঘটনার পর আশেপাশের মানুষ মুন্নাকে উদ্ধার করে প্রথমে সেন্ট্রাল হসপিটালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রবিবার রাতেই পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে নিউমার্কেট থানার ওসি মাহফুজ বলেন, সেন্ট্রাল রোডের একদিক কলাবাগান থানা ও বিপরীত পাশের এলাকা নিউমার্কেট থানাধীন। যেস্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেটি নিউমার্কেট থানাধীন। এ কারণে ভিকটিমের পরিবারকে মামলা করতে বলা হয়েছে। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। তবে ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।