উপস্থাপিকা ও মডেল ঈশিকা খানের মিরপুরের বাসায় বেশ বড় ধরনের চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার রাতে পরিবারের সদস্যদের চায়ে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়ে এ চুরি সংগঠিত হয়েছে বলে মনে করেছেন ঈশিকা। তিনি ধারণা করছেন, এটি গৃহকর্মীই করেছে। তার নাম রুবি।
এতে ঈশিকাসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য এখনও অসুস্থ। ঈশিকা রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তার তথ্যমতে, নগদ লাখ খানেক টাকা ও ৩৫ ভরির মতো গহনা খোয়া গেছে।
ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, ‘সোমবার রাতে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠলে আমার প্রচণ্ড শরীর খারাপ করে। মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছিলাম না। প্রথমে ভেবেছিলাম, প্রেসারের কোনও সমস্যা। পরে স্কয়ারে দেখাতে আসি।
চিকিৎসকরা জানান, আমার রক্তে ঘুমের ওষুধ পাওয়া গেছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে ছোট বোন সাদিয়াকে নিয়ে রুবি ডাব কিনতে বের হয়। সাদিয়াকে ডাবের দোকানে থাকতে বলে গৃহকর্মী কলা কিনতে যাবে জানিয়ে পালিয়েছে। এরপর আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে আম্মা রান্নাঘরে স্বর্ণের একটি কানের দুল পায়। সঙ্গে সঙ্গে আমার ও আম্মার আলমারি খুলে দেখি, কোনও গহনা নেই। এছাড়া নগদ টাকাও আর পাইনি। ১ লক্ষ টাকার মতো ছিল। ধারণা করছি, বাসার কাজের বুয়াই এটি করেছে। সে আমাদের বাসায় নতুন কাজ করছিল।’
নিজের শারীরিক অবস্থা কেমন জানাতে চাইলে ঈশিকা বলেন, ’গতকাল (মঙ্গলবার) প্রচুর ঘুম হয়েছে। বেশ বমি হচ্ছে। আজও শরীরটা বেশ খারাপ বলে সকালে আবার স্কয়ার হাসপাতালে এসেছি। চিকিৎসক বেশ কিছু টেস্ট দিয়েছেন।’
এদিকে চুরির ঘটনায় মিরপুর পুলিশ জিডি (সাধারণ ডায়রি) নেয়নি। ঈশিকার জানালেন, যেহেতু বেশ বড় ক্ষতি হয়েছে তাই পুলিশ মামলা করার কথা বলেছে। এবং বুধবার সকালে পুলিশ ঈশিকার বাসায় এসে পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। আজকের মধ্যেই ঈশিকার পরিবারের সদস্যরা মামলা করতে পারেন