স্থানীয় প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে সারবাহী একটি লাইটারেজ জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জাহাজের ১৩ নাবিকের সবাই জীবিত উদ্ধার হলেও সার আমদানিকারকের একজন প্রতিনিধি নিখোঁজ রয়েছেন। তবে নিখোঁজ ব্যক্তির নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর বাংলাবাজার আনু মাঝির ঘাট এলাকায় জাহাজ ডুবির এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ১০টার দিকে সার বোঝাই জাহাজটি ধীরে ধীরে নদীতে তলিয়ে যেতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে জাহাজের তলানি ফুটো হয়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে জাহাজটি। এ সময় জাহাজে থাকা নাবিকরা ইঞ্জিনচালিত নৌযানে উঠে কূলে আসেন।
লাইটারেজ জাহাজের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি) সূত্র জানিয়েছে, সরকারের কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) জন্য বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ২৫ হাজার টনেরও বেশি এমওপি (পটাশ) সার নিয়ে এমভি তুর নিরামত নামের মাদার ভ্যাসেল চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে লাইটারেজ জাহাজের মাধ্যমে সারগুলো বাংলাবাজারের আনু মাঝির ঘাটে আনা হচ্ছিল।
১৬০০ টন সার নিয়ে এমভি মাকসুদা–২ নামের লাইটারেজ জাহাজটি রবিবার রাত ৯ টা নাগাদ ঘাট এলাকায় পৌঁছে। জাহাজটিকে নোঙর করে বয়ার সাথে বাঁধার প্রস্তুতি নেয়ার সময় ডুবে থাকা কোনো বস্তুর সাথে এটি ধাক্কা খায়। এতে জাহাজটির তলা ফেটে যায় এবং ডুবতে শুরু করে। অল্পক্ষণের মধ্যে প্রায় চার কোটি টাকার সারসহ জাহাজটি পুরোপুরি কর্ণফুলী নদীতে ডুবে যায়।
সদরঘাট নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.একরাম উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ডুবে যাওয়া জাহাজের সকল নাবিক উদ্ধার হলেও সার আমদানি প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।