নিউজ ডেস্ক
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ওপর বন্দুক হামলার ঘটনায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তার সমর্থকদের মধ্যে। তাই দেশজুড়ে বিক্ষোভে নামার ঘোষণা দিয়েছে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। সেই সাথে আপাতত স্থগিত থাকবে লংমার্চ।
বৃস্পতিবারের (৩ নভেম্বর) সেই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইমরানের এক সমর্থক, আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য ডন জানায়, শুক্রবার (৪ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ শুরু করবে পিটিআই এবং চলবে ইমরান খানের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত।
হামলার প্রতিবাদে পাঞ্জাবের বার কাউন্সিলও (পিবিসি) প্রদেশজুড়ে আদালত বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইনজীবীরা আজ আদালতে হাজিরা দেবে না। ইমরানের ওপর হামলা স্পষ্টতই বিচার এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতা।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) পাঞ্জাবে ওয়াজিরাবাদের সমাবেশে ইমরানের ওপর হামলার পরপরই পাকিস্তানজুড়ে পিটিআইয়ের কর্মী ও সমর্থকরা প্রতিবাদে নামে। তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে বিভিন্ন শহরে ব্যাপক জানযট সৃষ্টি হয়।
ইমরানের লংমার্চ শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার যা ঘটল তার প্রতিবাদে দেশ এরই মধ্যে বিক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছে। এই অস্থির পরিস্থিতি পাকিস্তানকে এক বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইমরানের ওপর হামলার এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাঈ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডু এবং আরও অনেকে।
গত এপ্রিল মাসে অনাস্থা ভোটে হেরে যান ইমরান খান। এরপর থেকেই দ্রুত নির্বাচনের জন্য দেশজুড়ে সভা-সমাবেশ চালাচ্ছেন তিনি। বর্তমান সরকারকে চাপে ফেলতে গত ২৮ অক্টোবর লাহোর থেকে লংমার্চ শরু করেন তিনি। ১১ নভেম্বর ইসলামাবাদে এই যাত্রা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইমরানের ওপর এই হামলা পাকিস্তানের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক অঙ্গনের বার্তা দিচ্ছে। এর আগেও আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোসহ আরও অনেকে।