ডেস্ক নিউজ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজুকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এনসিপি রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী করে রাশেদুল ইসলামকে গত ১৮ জুন জেলা সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আট দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান।
ইংরেজিতে লেখা পদত্যাগপত্রের চিঠিতে রাশেদুল বলেন, ‘আমি এনসিপির রাজশাহী জেলার প্রধান সমন্বয়কারীর পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিচ্ছি। এনসিপির ব্যানারে দলের সেবা করা এবং দেশের উন্নতির জন্য কাজ করা আমার জন্য সম্মানের ও সৌভাগ্যের। জেলা ইউনিটের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমাকে যে আস্থা, সমর্থন এবং সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তবে ব্যক্তিগত কারণে আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে এই মুহূর্তে আমাকে আমার ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।’
গত বুধবার (২৫ জুন) রাতে একটি রেস্তোরাঁয় বসেছিলেন জেলা কমিটির নেতারা। এই রেস্তোরাঁর মালিক রাশেদুল ইসলাম। সেখানে ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজু আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী ফিরোজ আলমকে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর আহত অবস্থায় ফিরোজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজুকে শুক্রবার সাময়িক অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। একই সঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে এক ভিডিও বার্তায় নাহিদুল ইসলাম সাজু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘এনসিপির জেলা কমিটিতে কিছু বিতর্কিত ব্যক্তি রয়েছে, যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। এর কিছু তথ্যপ্রমাণ সামনে আসায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। তার কোনো সুরাহা না হওয়ায় এটি শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করার শামিল। রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার ধুম চলছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এনসিপিকে জেলায় অবাঞ্ছিত করা হবে।’
পদত্যাগের বিষয়ে রাশেদুল ইসলাম বলেন, পদত্যাগপত্র কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আমি কোনো দিন রাজনীতি করিনি। হঠাৎ এসে মনে হচ্ছে, এত বড় পদ আমার জন্য না। তবে আমি এখনো এনসিপির সঙ্গে আছি। এনসিপির ভালোটাই চাই। একান্তই ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি।
কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে সবার সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি। রাজশাহীতে এনসিপির কার্যক্রম আছে, সবাই মিলেই কাজ করব।