উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র?

Date:

Share post:

উত্তর কোরিয়ার িভিতে ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার দৃশ্য

সাম্প্রতিক সময়ে পরীক্ষা করা ব্যালিিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর সক্ষমতা যাই হোক, এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই যে পারমানক অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির লক্ষ্যের দিকেই ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।

আর সেই ক্ষেপণাস্ত্র নি:সন্দেহে হুমকি তৈরি করবে আমেরিকা মহাদেশের জন্য।

“পারমানবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম”- বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি করতে হলে পিয়ংইয়ংকে প্রথমে পারমানবিক অস্ত্র আকারে ছোট করতে হবে এবং সব ধরনের প্রতিকূলতা থেকে এটিকে সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক কর্ূচিতে এ বিষয়টিকে কিভাবে দেখা হয় সেটি কারও জানা নেই তবে চাইলে উত্তর কোরিয়া এ ধরনের সক্ষমতা অর্জন করতে পারে এবং এটি সম্ভব প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়সীমাতেই।

দেশটি অবশ্য ইতোমধ্যেই দাবি করেছে যে তারা আমেরিকার যে কোন স্থানে যে কোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষমতা অর্জন করেছে।

এটা এখন পাল্টা একটা প্রশ্ন তৈরি করেছে যে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের হামলা মোকাবেলায় সক্ষম কি-না। ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বেশি কার্যকর বলা হচ্ছে

যদিও দেশটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষায় বিল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। ্যাপী স্যালাইট সেন্সর নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং এর মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র গতি ও পর্যবেক্ষণ ও চিহ্নিত করার সুযোগ আছে দেশটির জন্য।

আর ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী পাল্টা ব্যবস্থা তো রয়েছেই।

কিন্তু তারপরেও সমালোচকদের অনেকেই বিশ্বাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের এই ব্যবস্থায় অনেক ঘাটতি রয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন এখন পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছে।

নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্রও আসতে যাচ্ছে দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়।

কিন্তু নিকট ভবিষ্যতে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলা জন্য দেশটির হাতে ব্যবস্থা আছে যে অল্পই।

প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান এক সময় আশা করেছিলেন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধক ব্যবস্থা।

তবে এ ধরনের ব্যবস্থা ছিলো ব্যয়বহুল এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও ঘাটতি ছিলো। িণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র মোতায়েন করেছে থাড প্রতিরোধ ব্যবস্থা

পরে কয়েক দশকে প্রযুক্তির নাটকীয় উন্নতি হয়েছে যাতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও রাডার সিস্টেম দারুণভাবে সফল ও পরীক্ষিত।

অন্যদিকে সমালোচকদের মতে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনো যথাযথ পর্যায়ে পৌঁছেনি,এমনকি পরীক্ষাগুলোতেও মিশ্র ফল পাওয়া গেছে। সমালোচনা রয়েছে যে এমনকি যুক্তরাষ্ট্র একটি পরিপূর্ণ পরীক্ষাও চালায়নি তার প্রতিরোধ সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য।

কমান্ডাররাও স্বীকার করেন যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোটা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধক হয়ে উঠেনি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন উত্তর কোরিয়া ও এর ক্রম বিকাশমান ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বিষয়ে যাই ভাবুন, সময় আসলে বয়ে যাচ্ছে দ্রুত।

একটি বিকল্প অবশ্য আছে আর সেটি হলো দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিরোধ জোরদার করা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

বিশাল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইতালির রাজধানী, আহত ২৭

ইতালির রাজধানী রোমের পূর্বাঞ্চলীয় একটি পেট্রোল পাম্পে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) এই বিস্ফোরণে ১০ পুলিশ কর্মকর্তা...

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন : জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক ও আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অধিকৃত ফিলিস্তিনি...

ইরানে হামলায় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিও জড়িত: রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলি আক্রমণকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছিল। তাই তাদের...

ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা করল রাশিয়া

ইউক্রেনে বেশ বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ২০২২ সালে আগ্রাসন শুরুর পর এটাই ছিল রাশিয়ার সবচেয়ে বড়...