২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই দেশটির বিরুদ্ধে গণহত্যা,ধর্ষণসহ নানান যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে ইউক্রেন।এবার ইউক্রেনের প্রধান কৌঁসুলির ইরিনা ভেনেডিকটভা দাবি করেছেন,যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রায় ১৫ হাজার যুদ্ধাপরাধের মতো ঘটনা ঘটেছে ইউক্রেনে।
ভেনেডিকটভা জানিয়েছেন,যুদ্ধাপরাধের বেশির ভাগ ঘটনা ঘটেছে পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস অঞ্চলে।বিবিসি জানায়,যুদ্ধাপরাধের এসব অভিযোগের মধ্যে আছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের রাশিয়ায় যেতে বাধ্য করা, নির্যাতন, বেসামরিক হত্যা, অবকাঠামো ধ্বংস করা ইত্যাদি।
হেগ শহরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভেনেডিকটভা বলেন, যুদ্ধাপরাধে জড়িত ৬০০ সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮০টি ঘটনার বিচার শুরু হয়েছে।
সন্দেহভাজনদের তালিকায় রুশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও রাজনীতিবিদ ও কুশলীদের নাম রয়েছে।
তদন্ত প্রক্রিয়ায় এস্তোনিয়া,লাটভিয়া ও স্লোভাকিয়াও সম্পৃক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেন। আগে থেকেই সহায়তা করছে পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়া।
আন্তর্জাতিক আদালত দি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম কোর্ট ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে তদন্ত কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে। কিয়েভে কার্যালয় খোলারও আশা করছে তারা। যদিও রাশিয়া বরাবরই বেসামরিকদের ওপর হামলা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এর আগে মঙ্গলবার বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণের দায়ে দুই রুশ সেনাকে কারাদণ্ড দেয় ইউক্রেন। গত সপ্তাহে বেসামরিক হত্যার অভিযোগে আরও একজন রুশ সেনার বিচার শুরু হয়েছে।