‘রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ মোটেই বন্ধ হবে না’

Date:

Share post:

রামপাল প্রকল্প বাস্বায়িত হলে সুন্দরবনের কোসিস্টেম বিপন্ন হবে বলে পরিবেশবাদীদের দাবি

বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে পরিবেশগত সমীক্ষা শেষ হওয়ার গে ব় আকারের কোন স্থাপন বা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ না তে অনুরোধ করেছে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ

সুন্দরবন ও রামপাল বিষয়ে কমিটির সভার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এমন অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনটি রোববারই প্রকাশিত হয়েছে।

তবে সোমবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহি চৌধুরী বলেছেন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ চলবে তবে কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা করে ওই অঞ্চলে বড় শিল্প বা অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হবে।

তাহলে কি প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে কোনও বড় স্থাপনাই মনে করছে না সরকার?

এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “তারা (ইউনেস্কো) রামপালের বিষয়টি রিপোর্ট থেকে উঠিয়ে দিয়েছে , সুনির্দিষ্ট করে তো কিছু বলা নাই। রামপাল চলমান প্রজেক্ট। সুনির্দিষ্টভাবে বলা হলে বন্ধ করে দিতাম”।

কিন্তু প্রতিমন্ত্রীর কথার সাথে একমত নন রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আনু মুহাম্মদ।

তিনি বলেন, “১৮০০ একর জমি িগ্রহণ করে যেটা হচ্ছে সেটা তো বৃহৎ শিল্পই হবে। আবার মনিটরিং মিশনের সিদ্ধান্তও বাস্তবায়ন করতে বলেছে যেখানে বলা হয়েছে রামপাল বাতিল করতে হবে।”

ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সভায় সুন্দরবন বিষয়ে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। রামপাল প্রকল্প বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের একটি যৌথ উদ্যোগ

পরে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছিলো যে ক্ষতিকর প্রভাব এড়িয়ে সরকার পরিকল্ত স্থানে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নির্মাণকে অনুমোদন করেছে হেরিটেজ কমিটি, যা নিয়ে তৈরি হয় ব্যাপক বিতর্কের।

এখন প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে হেরিটেজ কমিটি ওই অঞ্চলে কৌশলগত পরিবেশ মূল্যায়নের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে, তবে কমিটি বলছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে পানি ও বিদ্যুৎ দূষণ হবে এবং প্রচুর মিঠা পানির প্রয়োজন হবে।

এর প্রভাব নিরূপণ ও সুন্দরবনের ক্ষতি কিভাবে কমানো যাবে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকতে হবে পরিবেশ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে।

জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম বলছেন সরকারের অঙ্গীকার অনুযায়ী পরিবেশ সমীক্ষার পরেই প্রকল্পটি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার কথা।

কয়লা ভিত্তিক ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হলে সুন্দরবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দাবি করে পরিবেশবাদীদের একটি অংশ শুরু থেকেই প্রকল্পটির বিরোধিতা করে আসছে।

ব্যাপক বিরোধিতার মধ্যেই গত এপ্রিলে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের কাজ শুরুর অনুমতি দিয়েছে ভারতীয় একটি কোম্পানিকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু, নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়বেন অধিকাংশ মানুষ। এরই মধ্যে ঢাকা ছাড়তে...

ভাবীর কাটা মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ দেবরের

এক হাতে ধারালো অস্ত্র। অন্য হাতে এক মধ্যবয়সী নারীর সদ্য কাটা মাথা। ঝরছে তাজা রক্ত। চোখে-মুখে কোনো আতঙ্ক...

ধর্ম পরিবর্তন নিয়ে মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়েছিলাম: অপু বিশ্বাস

সম্প্রতি নিজের অতীত নিয়ে মুখ খুলেছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে, সন্তান এবং...

জীবিত ব্যক্তিকে জুলাই আন্দোলনে ‘শহীদ’ দেখিয়ে হত্যা মামলা!

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া এলাকার সোলায়মান সেলিম নামের এক ব্যক্তি দাবি করছেন, জুলাই আন্দোলনে তাকে মৃত দেখিয়ে হত্যা মামলা হয়েছে।...