তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বাল্য বিয়ে রুখতে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সারাদেশে প্রচারণা চালানোর জন্য সমাজের সব শ্রেণী- পেশার মানুষকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
ইনু আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে শিশু বিয়ে বন্ধ করার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আচরণগত ও সামাজিক পরিবর্তন ঘটাতে ‘একটি জাতীয় মাল্টি-মিডিয়া প্রচারণার’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।‘বাল্যবিয়ে মানবাধিকার লংঘন’ একথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অপরিণত বয়সে বিয়েবন্ধন বালক-বালিকাদের জীবন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস করে।
তিনি বলেন, শিশুবিয়ে বন্ধে শুধু বালিকাদের পাশাপাশি বালকদেরও প্রজনন ও যৌনস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাদের এই ধরণের তথ্য জানা মানবাধিকার। এ বিষয়গুলোকে নিয়ে পরিবার ও সমাজে আলোচনা বৃদ্ধি করার উপরও জোর দেন তিনি।
তিনি সরকার শিশুবিয়ে বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দেশে আইন থাকার পরও বাল্যবিয়ে কোন কোন কারণে হচ্ছে তা সঠিকভাবে চিহ্নিত করে এ বিষয়ে প্রচারণা চালানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার।
এডুয়ার্ড বেগবেদার বলেন, কোনো অবস্থাতেই ‘১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে অনুমোদনের বিশেষ বিধানটির যেন অপব্যবহার না হয়। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
তিনি বলেন,‘আঠারো বছরের নিচে বিয়ে কোন মেয়ের জন্যই কল্যাণকর নয়। বাংলাদেশ সরকার শিশু বিয়ে প্রতিরোধ এবং বিয়ের পর মামলা হলে তা অনুমোদন ও প্রতিকারে আইনি কাঠামো শক্তিশালী করছে। নতুন গৃহীত বাল্যবিয়ে নিয়ন্ত্রণ আইন একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।”
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘বাল্যবিয়ে রুখতে হলে আওয়াজ তোলো তালে তালে’ সকল স্তরের মানুষকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে এই শ্লোগানটি মূলশক্তি হিসেবে কাজ করবে।