ডেস্ক নিউজ: বিপুল জয় নিয়ে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ওরফে বংবং। বেসরকারি ফলাফল বলছে, প্রায় ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র প্রায় ৩ কোটি ভোট পেয়েছেন, যা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উদারপন্থী প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট লেনি রব্রেদো থেকে দ্বিগুণেরও বেশি।
এই নির্বাচন মার্কোস বংশের ভাগ্যে আরেকটি আশ্চর্যজনক পরিবর্তন ঘটিয়েছে, যারা প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদ থেকে চলে যাওয়ার অর্ধ শতাব্দী ব্যবধানে আবার ফিরে এসেছেন।
১৯৮৬ সালে মার্কোস সিনিয়র এবং কুখ্যাত ফার্স্ট লেডি ইমেল্ডা মার্কোসকে ‘জনগণের শক্তি’ বিপ্লবের মাধ্যমে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল।
ক্ষমতা থেকে পতন সত্ত্বেও মার্কোস পরিবার ১৯৯০-এর দশকে নির্বাসন থেকে ফিরে আসে এবং তখন থেকে রাজনীতিতে একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে। বিশাল সম্পদ এবং সুদূরপ্রসারী গণসংযোগের সঙ্গে প্রভাব বজায় রেখেছে তারা।
এবারের ভোট ২০১৬ সালের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রব্রেদোর কাছে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মার্কোসের জন্য একটি সুযোগ ছিল। মাত্র ২ লাখ ভোটে একটি পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
সোমবারের নির্বাচনে বিজয়ী আগামী ৩০ জুন ছয় বছরের মেয়াদে কার্যভার গ্রহণ করবেন। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে পরম্পরাসূত্রে প্রচুর সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। তার মধ্যে রয়েছে মহামারী-বিধ্বস্ত অর্থনীতি, গভীর দারিদ্র্য এবং দুতের্তের নেতৃত্বে একটি নৃশংস মাদকবিরোধী ক্র্যাকডাউনের ফলশ্রুতি।